SSC Recruitment Case: ১৮৩ নাকি সংখ্যাটা আরও বেশি? এখনও কত জন অযোগ্য চাকরি করছেন? আজ হাইকোর্টের রিপোর্ট পেশ SSC-র
SSC Recruitment Case: এই মামলার তদন্তে গারদে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। জেলে এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়রা।

কলকাতা: এসএসসি-র নবম-দশমে কত ভুয়ো চাকরি? হাইকোর্টের নির্দেশের পরই খোঁজ শুরু করে স্কুল সার্ভিশ কমিশন। জানা গিয়েছে, কাউন্সেলিং ও নিয়োগ লিস্ট মিলিয়ে ১৮৩ জনের চাকরিতে গরমিল মিলেছে। বুধবার আদালতে সেই রিপোর্ট জমা পড়বে। যদিও, চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, সংখ্যাটা হাজারের বেশিই।
এই মামলার তদন্তে গারদে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। জেলে এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়রা। অভিযুক্তরা তো গারদে। কিন্তু, টাকার বিনিয়মে যাঁরা এখনও বহাল তবিয়তে স্কুলে…তাঁদের কী হবে? এদিন সেই তথ্য জমা পড়বে আদালতে।
২১ সেপ্টেম্বর বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, যাঁরা যোগ্য, তাঁদের চাকরি দেওয়ার সময় হয়েছে। কত বেআইনি নিয়োগ হয়েছে, সেটা জানা দরকার। জানাতে হবে সিবিআইকে। এসএসসি নিজে জানবে কত জন সহকারী শিক্ষক বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। ওয়েটিং লিস্টে থাকা পরীক্ষার্থীরা চাকরি পাবেন। মেরিট লিস্ট, ওয়েটিং লিস্ট প্রকাশের ফলে, বোঝা যাবে কেন এটা হল।
২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। হাইকোর্টের নির্দেশের পরই, তথ্য জোগাড়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করে এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও মামলাকারীদের আইনজীবী। এরপরই মামলাকারী ও এসএসসি-র আইনজীবীদের ২০১৬-র নবম-দশমের নিয়োগ তালিকা তুলে দেয় মধ্যশিক্ষা পর্যদ। সেই নিয়োগ তালিকাকে কাটাছেঁড়া করে মিলেছে একাধিক তথ্য।
সূত্রের খবর, নবম ও দশম শ্রেণির ক্ষেত্রে কাউন্সেলিং ও নিয়োগ তালিকা মিলিয়ে দেখা হয়। তাতেই ১৮৩ জনের ব্যতিক্রমি নিয়োগ সামনে এসেছে। সূত্র মারফত তেমনটাই জানা গিয়েছে। এই ১৮৩ জনের নিয়োগে গরমিল স্পষ্ট রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
তার মানে টাকা দিয়ে চাকরি? এই ভুয়ো নিয়োগের তালিকাই বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে পেশ হতে চলেছে। কিন্তু, মাত্র ১৮৩ জন? না। চাকরিপ্রার্থীদের জোরালো দাবি, সংখ্যাটা এত কম হওয়ার কথা নয়। তাঁদের মতে, শুধু নবম-দশমেই অযোগ্য নিয়োগের সংখ্যা হাজারের বেশি। তাহলে এসএসসি এত কম জনের কথা বলছে কেন? এখানেই কয়েকটি সম্ভাবনার কথা সামনে আসছে।
চাকরি প্রার্থীদের দাবি,এসএসসি নিয়োগ তালিকার সঙ্গে পুরনো নথি মিলিয়ে দেখা হয়েছে। মূলত কাউন্সেলিংয়ের নথির সঙ্গেই তথ্য যাচাই হয়েছে। কিন্তু চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, দুর্নীতি হয়েছে ইন্টারভিউতে। সেখানে বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে। তাই এই পদ্ধতিতে তাঁদের ধরা অসম্ভব। অভিযোগ, পুরনো নথিতে আগে থেকেই নাম ঢোকানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে অযোগ্যদের চিহ্নিত করা অসম্ভব।
বুধবার আদালতে রিপোর্ট দেবে এসএসসি। প্রশ্ন উঠছে, সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে কি ফের অযোগ্যদের চাকরি যাবে? চাকরি পাবেন যোগ্য প্রার্থীরা?