SSC Scam: দু’জনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৫৩, নবম-দশমের বেনিয়মের তালিকায় বিধায়কের ‘ভাইপো-ভাইঝি’র নাম?

SSC Scam: লালগোলার বিধায়ক মহম্মদ আলির ভাইপো ও ভাইঝিকে বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

SSC Scam: দু'জনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৫৩, নবম-দশমের বেনিয়মের তালিকায় বিধায়কের 'ভাইপো-ভাইঝি'র নাম?
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 28, 2022 | 4:34 PM

কলকাতা : কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) বেআইনি নিয়োগের তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিতেই না মোড় নিয়েছে নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ড। স্কুল সার্ভিস কমিশন সেই সব প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতেই একে একে শাসক দলের নেতাদের নাম সামনে আনছেন বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি, তালিকায় নাকি এমন অনেকের নাম আছে, যাঁরা নেতা বা বিধায়কদের আত্মীয়। শিলিগুড়ি, বর্ধমানের পর এবার তেমনই অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদে। লালগোলার বিধায়ক (TMC MLA) মহম্মদ আলির ভাইপো ও ভাইঝিকে বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁরা দুজনের বর্তমানে দুই স্কুলের ভূগোল শিক্ষক। তাঁদের আবেদনের সিরিয়াল নম্বর ও প্রাপ্ত নম্বর নিয়েই খটকা লাগছে বিরোধীদের। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক মহম্মদ আলি। যাঁদের নাম নিয়ে অভিযোগ, তাঁরা ভাইপো বা ভাইঝি নন বলেই দাবি করেছেন বিধায়ক।

যাঁদের নিয়োগে গরমিল খুঁজে পেয়েছে সিবিআই, তাঁদের তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই মতো কয়েকদিন আগেই ওএমআর শিট সহ নবম-দশমের বেশ কয়েকজন চাকরি প্রার্থীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে এসএসসি-র ওয়েবসাইটে। সেই তালিকাতেই নাম রয়েছে মহম্মদ রকিবুল হাসান ও নৌসিন আখতারের।

মুর্শিদাবাদ জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক লাল্টু দাসের দাবি, রকিবুল হাসান ও নৌসিন আখতার বিধায়ক মহম্মদ আলিরই ভাইপো, ভাইঝি। তাঁর দাবি, চুরির কথা কেউই নিজে স্বীকার করেন না, তাই দুর্নীতি হয়েছে বলেই পাশ কাটিয়ে যেতে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করছেন বিধায়ক।

দেখা যাচ্ছে, ওই দুজনের আবেদনের আইডি একদম পরপর। আর দুজনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৫৩। মোট ৫৫ নম্বরের পরীক্ষায় ৫৩ পেতে গেলে মাত্র ২ টি ভুল থাকবে ওএমআর-এ। কিন্তু এসএসসি-র তরফে প্রকাশিত ‘আনসার কি’ মিলিয়ে দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, দুজনের কারও ৫৩ পাওয়ার কথা নয়। সেখানেই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। মাথায় প্রভাবশালীর হাত নাকি পকেটে টাকা? কীসের জোরে হল চাকরি?

লালগোলার বিধায়ক মহম্মদ আলি অবশ্য সব দায় ঝেড়ে ফেলেছেন। সম্পর্কই অস্বীকার করেছেন তিনি। বিধায়ককে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার তিন ভাই। ভাইপো-ভাইঝির সংখ্যা মোট ৬। প্রত্যেকেই বর্তমানে ছাত্র বা ছাত্রী। চাকরি করে না কেউই, ফলে বাদ পড়ার প্রশ্নও ওঠে না।’ অনেক আত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বা পরিচয় নেই বলেও দাবি করেছেন বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘আদালতের ওপর আমার বিশ্বাস আছে।’

উল্লেখ্য, পূর্ব বর্ধমানের এক বিধায়কের ভাইয়ের নাম গ্রুপ ডি তালিকায় আছে বলে অভিযোগ। এছাড়া শিলিগুড়ির এক তৃণমূল যুব নেতার নামও তালিকায় রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিরোধীরা।