DA Case in High Court: তিন মাসের সময়সীমা শেষের পথে, DA মামলায় আবার আদালতের দ্বারস্থ রাজ্য

DA Case in High Court: ডিএ মেটানোর রায় দিয়েছিল স্যাট। সেই রায়ই বহাল রেখেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশ মতো ২০ অগস্টের মধ্যে মেটাতে হবে রাজ্যকে।

DA Case in High Court: তিন মাসের সময়সীমা শেষের পথে, DA মামলায় আবার আদালতের দ্বারস্থ রাজ্য
হাইকোর্টে ডিএ মামলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 12, 2022 | 3:45 PM

কলকাতা : তিন মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্ধারণ করা সেই সময়সীমা প্রায় শেষের পথে। এবার ফের আদালতের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। শুক্রবার আবারও ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছে রাজ্য। রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছে। গত ২০ মে মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত মামলায় রায় ঘোষণা করেছিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশ অনুযায়ী, তিন মাসের মেয়াদ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ডিএ বাড়ানো উচিত বলে উল্লেখ করেছিল আদালত।

২০১৯ সালের ২৬ জুলাই স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল ডিএ নিয়ে যে রায় দিয়েছিল সেই রায় বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের তরফে বলা হয়েছিল, কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সের ওপর ভিত্তি করে ডিএ নির্ধারণ করতে হবে রাজ্যকে। তিন মাসের মধ্যে তা নির্ধারণ করে বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছিল রায়ে। পরে হাইকোর্ট সেই রায় বহাল রাখে। ২০ মে বলা হয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে ডিএ মেটাতে হবে। সেই মতো তিন মাসের সময়সীমা শেষ হচ্ছে ২০ অগস্ট। তার আগেই আবার আদালতের দ্বারস্থ রাজ্য।

২০০৯ সালের জুলাই মাস থেকে বাকি রয়েছে ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা। এরিয়ার সহ সেই ডিএ মেটানোর দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের অনুপাতে ডিএ-র ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারি কর্মীরা পিছিয়ে রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি করেছিল সরকারি কর্মীরা। পরে হাইকোর্টের রায়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফেরে।

ডিএ কতটা গুরুত্বপূর্ণ, কেন ডিএ চালু করা হয়েছিল, এ সবও উল্লেখ করেছিল আদালত। বিচারপতিরা বলেছিলেন, ডিএ বিলাসিতার জন্য নয়, প্রয়োজনের জন্য। তবে রাজ্য সরকার নতুন করে আবেদন করায় আইনজীবী মহলে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সময় নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে?