Calcutta Medical College: ক্ষমা না চাইলে শূন্য বসিয়ে দেওয়া হবে, কড়া সিদ্ধান্তের পথে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ
Calcutta Medical College: তৃতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা ছিল সোমবার ও মঙ্গলবার। সেখানেই গরহাজির ছিলেন অন্তত ২৫০ জন পড়ুয়া।
কলকাতা: এমবিবিএস পড়ুয়াদের পরীক্ষায় গরহাজির থাকা নিয়ে বুধবার কোনও পদক্ষেপ করল না কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কথা জানিয়েছিলেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ রঘুনাথ মিশ্র। বুধবার সেই বৈঠক হলেও কোনও পদক্ষেপের কথা বলা হয়নি। তবে কী কী করা যেতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গত সোমবার ছিল এমবিবিএসের একটি সেমেস্টারের প্রথম পরীক্ষা। তাতে শতাধিক পড়ুয়া অনুপস্থিত ছিলেন। পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনেও দেখা যায় একই ছবি। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়নি এ দিন।
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে তিন ধরনের পদ্ধতির কথা ভাবা হয়েছে। এক, পড়ুয়ারা ক্ষমা চাইলে তা বিবেচনা করবে কলেজ কর্তৃপক্ষ। দুই, ছাত্রছাত্রীরা প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা দিতে চাইলে অনুমতি দেওয়া হবে। তিন, পড়ুয়ারা কোনও রকম ক্ষমা না চাইলে শূন্য বসিয়ে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে বিভাগীয় প্রধানরা পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন হল, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে একযোগে একদল পরীক্ষার্থী পরীক্ষার হলে গরহাজির থাকলেন, এরপরও কর্তৃপক্ষ সুস্পষ্ট কোনও পদক্ষেপ করতে পারছেন না কেন? অধ্যক্ষ রঘুনাথ মিশ্রের বক্তব্য, এই পরীক্ষা বিভাগীয় পরীক্ষা। স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নয়। এখানে বিভাগীয় প্রধানদের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ভাবী চিকিৎসকদের এই আচরণ ভবিষ্যতে অনভিপ্রেত নজির তৈরি করবে না? এই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি অধ্যক্ষ।
দ্বিতীয় বর্ষের তৃতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা নিয়েই তৈরি হয় বিতর্ক। পরপর দু দিন ২৫০ জন পরীক্ষা দিতে আসেননি। পড়ুয়াদের দাবি, অনেকে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাই কলেজে যাওয়া সম্ভব নয়। অন্যদিকে, কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, সুরক্ষার সব বন্দোবস্ত থাকলেও এমবিবিএস পড়ুয়ারা পরীক্ষা দিতে আসেননি। কর্তৃপক্ষের দাবি, কলেজে মাত্র ১০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাই পরীক্ষা বাতিল করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। এমনকি করোনার যখন বাড়বাড়ন্ত ছিল, তখনও কলেজে এসে পরীক্ষা দিয়েছেন পড়ুয়ারা। তাই এই ঘটনায় প্রশ্ন তুলেছেন সিনিয়র চিকিৎসকেরা।