RG Kar: ‘আমরা অন্ধকারে লুকিয়ে আছি… জানি না বাঁচব কি না’, কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচলেন TV9-এর প্রতিনিধি

অভিযোগ, পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলেও পুলিশ কার্যত দর্শকের ভূমিকা পালন করে। এক চিকিৎসক বলেন, "ধরনা মঞ্চের সামনে হঠাৎ মব অ্যাটাক হয়। সব ভেঙে দেয়। পুলিশ দর্শকের ভূমিকা পালন করে। এটা পুলিশের ব্যর্থতা। পুলিশের যার যার নম্বর ছিল, তাদের সবাইকে ফোন করেছি। কেউ ফোন তোলেনি।

RG Kar: 'আমরা অন্ধকারে লুকিয়ে আছি... জানি না বাঁচব কি না', কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচলেন TV9-এর প্রতিনিধি
TV9-এর প্রতিনিধি লিমা চট্টোপাধ্যায়Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 15, 2024 | 4:46 PM

কলকাতা: রাত বাড়তেই বদলে গেল প্রতিবাদের চেহারা। কোথায় স্লোগান, কোথায় রাত দখলের অঙ্গীকার! যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ কয়েকদিন আগেই এক অভিশপ্ত রাতের সাক্ষী থেকেছে, সেই আরজি করে হই হই করে ঢুকে পড়ল একদল দুষ্কৃতী। তাঁরা কোনও মিছিলে ছিল না। হঠাৎ কোথা থেকে এগিয়ে এল, তা বুঝতে পারছেন না চিকিৎসকেরাও। বুধবার রাতে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হল হাসপাতালে। লুকিয়ে প্রাণ বাঁচাতে হল সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের। ভেঙে দেওয়া হল ক্যামেরা।

TV9 বাংলার তিন প্রতিনিধি তিনদিকে ছিটকে যান। চিত্র সাংবাদিককে খুঁজে পাওয়া যায় না বেশ কিছুক্ষণ। পরে প্রতিনিধি লিমা চট্টোপাধ্যায় নিজের মোবাইলে রেকর্ড করে দেখান, কীভাবে অন্ধকারে লুকিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন তিনি। প্রতিনিধি বলেন, আমি লুকিয়ে আছি। বাঁচতে পারব কি না জানিনা। ফ্ল্যাশ লাইট জ্বেলে লাইভে এ কথা বলেন লিমা। কারণ তখন হাতে বাঁশ আর ইট নিয়ে দুষ্কৃতীরা যেখানে পারছে ভাঙচুর করছে।

অভিযোগ, পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলেও পুলিশ কার্যত দর্শকের ভূমিকা পালন করে। এক চিকিৎসক বলেন, “ধরনা মঞ্চের সামনে হঠাৎ মব অ্যাটাক হয়। সব ভেঙে দেয়। পুলিশ দর্শকের ভূমিকা পালন করে। এটা পুলিশের ব্যর্থতা। পুলিশের যার যার নম্বর ছিল, তাদের সবাইকে ফোন করেছি। কেউ ফোন তোলেনি। মহিলা চিকিৎসকদের কোনওরকমে হস্টেলে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।” ওই চিকিৎস প্রশ্ন করেন, ওয়ার্ডের মধ্যে ডাক্তার সুরক্ষিত যদি না থাকে তাহলে এই প্রতিবাদ করে কী হবে। সেই তো সুরক্ষার প্রশ্ন উঠে গেল।