Sukanta Majumdar on Abhishek: ‘নতুন তৃণমূল উপহার দেবে ট্রিগার-হ্যাপি পুলিশ’, অভিষেককে কটাক্ষ সুকান্তর
Sukanta Majumdar on Abhishek: বিজেপির নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গে অভিষেক বলেছেন, 'আমার সামনে যদি পুলিশের গাড়িতে আগুন জ্বলত, আমি মাথার উপরে শুট করতাম'।
কলকাতা : ‘পুলিশের ভূমিকা নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট নন সো-কলড যুবরাজ।’ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য প্রসঙ্গে এমনটাই বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির। কারণ ছাড়াই কর্মীদের মারধর করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। আর অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি, যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা মোকাবিলা করতে গুলিও চালাতে পারত পুলিশ। তবে, অভিষেক যে ভাবে মাথায় গুলি করার কথা বলেছেন, তার তীব্র নিন্দা করেছেন সুকান্ত।
বুধবারই আহত পুলিশ অফিসারকে দেখতে এসএসকেএমে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বলেন, ‘পুলিশ তো কাল পারত, গুলি চালাতে। এটাই পরিবর্তন।’ তাঁর দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আমলে অনেক বেশি সংযত আর সংবেদনশীল পুলিশ। তাতে থেমে থাকেননি অভিষেক। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আপনার জায়গায় যদি আমি থাকতাম, আমার সামনে যদি পুলিশের গাড়িতে আগুন জ্বলত, আমি মাথার উপরে শুট করতাম।’ তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
এ দিন সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দাবি করেন, অভিষেকের মন্তব্য থেকে স্পষ্ট যে আগামিদিনে তৃণমূল ক্ষমতায় থাকলে রাজ্যবাসীকে ‘ট্রিগার-হ্যাপি পুলিশ’ (যাঁরা সর্বদা গুলি চালাতে প্রস্তত) উপহার দেবে। সুকান্ত বলেন, ‘নতুন তৃণমূল ট্রিগার হ্যাপি পুলিশ উপহার দেবে আগামিদিনে।’ তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ করে সুকান্ত বলেন, ‘বিজেপি কর্মীদের বুক তৈরি আছে, মাথা তৈরি আছে। অভিষেক কত গুলি চালাতে পারেন দেখব।’ বিজেপি সাংসদের দাবি, অভিষেক এ ভাবে পুলিশকে প্ররোচনা দিচ্ছে। আগামিদিনে বিজেপি কর্মীদের ওপর পুলিশ অত্যাচার করলে, ছেড়ে কথা বলা হবে না বলেও বার্তা দেন তিনি। সুকান্ত মনে করিয়ে দেন, ভারতে এখনও বিচার ব্যবস্থা বেঁচে আছে।
শাসক দলকে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, ‘যাঁরা বিধানসভা ভাঙচুর করতে পারেন, যাঁরা মাওবাদীদের সঙ্গে নিয়ে খুন করাতে পারেন, তাঁদের কাছ থেকে অহিংসার কথা শুনতে চাই না।’ ভোট পরবর্তী হিংসায় বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন সুকান্ত। তবে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘কর্মীদের গ্রেফতার করে ভয় দেখাতে পারবেন না। পুজো শেষ হলে জেলায় জেলায় জেল ভরো আন্দোলন শুরু করবে বিজেপি।’