Sukanta Majumdar: নবান্ন অভিযানই শেষ নয়, পুজোর পর জেলায় জেলায় ‘আইন অমান্য’ বিজেপির
BJP in West Bengal: বঙ্গ বিজেপির সভাপতি বললেন, "নবান্ন অভিযানের পর বহু বসে যাওয়া কর্মী আবার সক্রিয় হয়েছেন। আমরা সবাইকে সুযোগ দিতে চাই। আমাদের মন বড়। তাই সবাইকে নিয়েই বিজেপি পরিবার চলবে।"
কলকাতা: বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। যে ‘উদ্যম’ দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে দেখেছেন বিজেপি নেতারা, তা স্বাভাবিকভাবেই অক্সিজেন জুগিয়েছে তাঁদের মনে। নবান্ন অভিযানের আঁচ গিয়ে পৌঁছেছে বিজেপির দিল্লি নেতৃত্ব পর্যন্তও। দিল্লি থেকে পাঁচ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠিয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁরা ঘুরে ঘুরে আহত দলীয় নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেছেন। পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। জানিয়েছেন, তাঁদের আন্দোলন, তাঁদের লড়াই… নেতারা দেখেছেন। নবান্ন অভিযানের পর বিজেপির নীচু তলার কর্মী ও সমর্থকরাও স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। সেই কথা এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথা থেকেই স্পষ্ট। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি বললেন, “নবান্ন অভিযানের পর বহু বসে যাওয়া কর্মী আবার সক্রিয় হয়েছেন। আমরা সবাইকে সুযোগ দিতে চাই। আমাদের মন বড়। তাই সবাইকে নিয়েই বিজেপি পরিবার চলবে।”
এর পাশাপাশি আগামী দিনে বিজেপির তরফ থেকে আরও যে সব কর্মসূচির পরিকল্পনা রয়েছে, সেই সবেরও একটি আগাম আভাস দিয়ে রাখছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। শোনালেন জোড়া কর্মসূচির পরিকল্পনার কথা। সুকান্ত মজুমদার জানান, দুটি আন্দোলনকে আমরা সামনে নিয়ে চলছি। আমাদের আইন অমান্য আন্দোলন হবে এবং আমরা জেল ভরাতে অংশগ্রহণ করব। বিজেপি কর্মী, সমর্থক, নেতারা আইন অমান্য করে গ্রেফতারি বরণ করবেন। কোথাও জেলা পরিষদ ঘেরাও করে, কোথাও জেলা শাসকের অফিস ঘেরাও করে, কোথাও পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে আইন অমান্য করা হবে।” এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “কৃষকদের দুর্দশার কথা এবং কৃষকদের ফসলের দাম না পাওয়ার ইস্যুকে সামনে নিয়ে দলের কৃষক মোর্চা আলাদা করে আন্দোলনে নামবে।”
উল্লেখ্য, রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় করে দিয়েছে বিজেপির নবান্ন অভিযান। সাম্প্রতিককালে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগ উঠে এসেছে, তার প্রতিবাদে এবার আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়াতে চাইছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। সোমবার সেই কথা আবারও স্পষ্ট করে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।