Supreme Court: কোনদিকে SLST চাকরিপ্রার্থীদের ভাগ্যের চাকা? বছর ঘুরলে নজর শীর্ষ আদালতে
SLST Case: শীর্ষ আদালতে মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে কী কী যুক্তি দেখানো হয়, সেই দিকেই তাকিয়ে আইনজীবী মহল। গতকালই এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে আরও এক দফা বৈঠক করে ফেলেছে শিক্ষা দফতর। সূত্রের খবর, যাবতীয় জট কাটানোর জন্য এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার ও শিক্ষাসচিব মনীশ জৈনকে বিশেষ দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে ওই বৈঠকে।
কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টে লিস্টিং হয়ে গিয়েছে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত সুপার নিউমেরারি মামলার। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঁইয়ার বেঞ্চে হবে সুপার নিউমেরারি মামলার শুনানি। আগামী ২ জানুয়ারি শুনানি হতে পারে এই মামলার। সুপ্রিম কোর্টের এই মামলার উপরেই নির্ভর করছে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের চাকরির ভবিষ্যত। শীর্ষ আদালতে মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে কী কী যুক্তি দেখানো হয়, সেই দিকেই তাকিয়ে আইনজীবী মহল। গতকালই এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে আরও এক দফা বৈঠক করে ফেলেছে শিক্ষা দফতর। সূত্রের খবর, যাবতীয় জট কাটানোর জন্য এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার ও শিক্ষাসচিব মনীশ জৈনকে বিশেষ দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে ওই বৈঠকে।
চাকরিপ্রার্থীরা চাইছেন যাতে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই গোটা বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়। সেক্ষেত্রে এসএসসি চেয়ারম্যান ও শিক্ষাসচিবের আগামী দিনগুলিতে কী ভূমিকা থাকে, সেদিকেই নজর রা থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের। সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারির আগেই যাতে আইনি জট কেটে যায়, তা নিশ্চিত করে চাইছে রাজ্য সরকার। শিক্ষাসচিব ও এসএসসি চেয়ারম্যানকে প্রয়োজনে সবরকম আইনি সাহায্যের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এসএলএসটি নিয়োগের জট কাটাতে সরকার পক্ষ সুপার নিউমেরারি পদের তৈরি করেছিল প্রথমে। সেই মতো রাজ্যের ক্যাবিনেটের অনুমোদন ক্রমে সুপার নিউমেরারি পদও তৈরি করা হয়েছিল। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা জন্য ১২৮০টি শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছিল। এরপর এসএসসির তরফে কাউন্সেলিং করে সুপারিশপত্রও দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আইনি জটে আটকে যায় সুপার নিউমেরারি পদ।