হাইকোর্টের রায় শোনার পর আর ওনার কথা কেউ শুনবে না: শুভেন্দু
রাজনৈতিক পথে লড়তে না পেরেই তদন্তকারী সংস্থার সাহায্য নিচ্ছে বিজেপি। এমনটাই দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা: ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ভয় পেয়ে যাওয়া কর্মীদের উৎসাহিত করার জন্যই এ সব বলছেন।’ এমনটাই বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আজ, শনিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠানের বক্তব্যে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেন মমতা (Mamata Banerjee)। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক পথে লড়াই করতে না পেরেই তদন্তকারী সংস্থার সাহায্য নিচ্ছে বিজেপি (BJP)। শুধু তাই নয়, মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট নিয়েও বিজেপিকে তোপ দাগেন তিনি। আর মমতার এই মন্তব্যে শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া, ‘হাইকোর্টে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ যে রায় দিয়েছে, তা শোনার পর আর ওনার কথা কেউ শুনবে না।
এ দিন শুভেন্দু মমতাকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘স্বাধীনতার পর সবথেকে বড় কেলেঙ্কারিই হয়েছে তৃণমূল সরকারের আমলে। একটি হল,চিটফান্ড কেলেঙ্কারি আর আর অন্যটি কয়লা কেলেঙ্কারি।’ তিনি জানান, ব্যাঙ্ককে কার অ্যাকাউন্টে কয়লা কেলেঙ্কারির টাকা ঢুকত, সেই প্রমাণ তাঁর কাছে আছে, তিনি তা দেখিয়েও দিয়েছেন। আর ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মমতা যে প্রতিহংসার কথা বলেছেন, তার জবাবে শুভেন্দু বলেন, ‘জাজমেন্ট শোনার পর ওনার কথা আর কেউ শুনবে না। উনি ওনার ভয় পেয়ে যাওয়া কর্মীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য এ সব বলছেন।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে বাংলায় সবথেকে বেশি অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ দিন বস্তা ভরে ইডির কাছে কাগজ পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা। তাঁর দাবি, একাধিক ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে ইডির তদন্ত হতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমি ইডির কাছে বস্তা ভরে কাফজ পাঠাব। আমরাও কোর্টে যেতে পারি। সব কিছু ম্যানেজ করা যায় না। সব ম্যানেজ করা অত সহজ নয়।’ সদ্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রীকে কয়লা-কাণ্ডে নোটোশ পাঠিয়েছে ইডি। আর সেই রেশ ধরেই মমতা বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে লড়ুক।’ তাঁর পরিবারের দিকে আঙুল তুললে তিনিও যে থেমে থাকবেন না, সে কথাও সাফ জানিয়েছেন মমতা। গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘ভুলে যাবেন না আজও কিছু কিছু লোক আছে যারা কথা বলতে ভয় পান না।’ তাঁর কথায়, রাজনীতি প্রতিহিংসার জন্য নয়। তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক পথে লড়তে না পেরেই প্রতিহিংসার পথে হাঁটছে বিজেপি।
পাশাপাশি এ দিন মমতা এও বলেন, ‘মহিলা-কাণ্ডে অনেক বিজেপি নেতার নাম জড়িয়েছে, আমি কখনও কাউকে গ্রেফতার করিনি।’ মানবাধিকার কমিশন নিয়ে আগেও একাধিকবার তোপ দেগেছেন মমতা। আজ ফের একবার তিনি বললেন, ‘মানবাধিকার কমিশনে সব বিজেপির মেম্বার। যে রিপোর্ট দিয়েছে সেও একজন বিজেপি, আমি প্রমাণ করে দিতে পারি।’ আর সেই রিপোর্ট নিয়েই শুভেন্দুর দাবি, আদালতের রায়ই শেষ কথা বলেছে। আরও পড়ুন: ‘অতিমারিতে জীবন-জীবিকা বিপন্ন, তার উপর ভূমিকম্প!’ মমতা-অভিষেককে পাল্টা কটাক্ষ বিজেপির