Suvendu Adhikari: গায়ে উর্দি-পায়ে হাওয়াই চটির পুলিশ গিয়েছিল শুভেন্দু বাড়িতে তল্লাশিতে, ৬ পুলিশকর্তার নাম উল্লেখ করে কমিশনে চিঠি
Suvendu Adhikari: মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শুভেন্দুর কোলাঘাটের ভাড়া বাড়িতে যায় পুলিশ। অভিযোগ, ৭০-৮০ জন পুলিশকর্মী বাড়ি ঘিরে ফেলেন। পুলিশের দাবি, এক দুষ্কৃতীর খোঁজে সেখানে তল্লাশিতে গিয়েছিল। যদিও পুলিশের দাবি উড়িয়ে দিয়ে শুভেন্দুর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই ‘হামলা’ হয়েছে।
কলকাতা: শুভেন্দুর কোলাঘাটের ভাড়াবাড়িতে পুলিশি হানা! এবার নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু। কমিশনের কাছে লেখা চিঠিতে শুভেন্দু ছ’জন পুলিশকর্তার নাম উল্লেখ করেছেন।
পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার আইপিএস সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য, ASP আইপিএস নিখিল আগরওয়াল, তমলুকের সার্কেল ইন্সপেক্টর চম্পকরঞ্জন চৌধুরী, CMG সেল ওসি সৌরভ মিত্র, MTO অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর কৌশিক ঢাল, কোলাঘাট থানার ওসি সৌরভ চিন্না। চিঠিতে শুভেন্দু অভিযোগ করেছেন,সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্তারা শাসকদলের হয়ে কাজ করেন। ষষ্ঠ দফার ভোট রয়েছে। শুভেন্দুর বক্তব্য, পুলিশ আধিকারিককে রেখে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যাঁরা তল্লাশিতে গিয়েছিলেন, তাঁদের দু’জনের গায়ে উর্দি থাকলেও পায়ে হাওয়াই চটি ছিল। নেম ট্যাগ ছিল না। আর দু’জন সাধারণ পোশাকে ছিলেন। তাঁরা এলাকায় সিভিক ভলান্টিয়র্স বলে শুভেন্দু চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। তাঁদের কাছে সার্চ ওয়ারেন্ট দেখতে চাওয়া হলে, তাঁরা তা না দেখিয়ে অভব্য আচরণ করেন বলেও অভিযোগ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শুভেন্দুর কোলাঘাটের ভাড়া বাড়িতে যায় পুলিশ। অভিযোগ, ৭০-৮০ জন পুলিশকর্মী বাড়ি ঘিরে ফেলেন। পুলিশের দাবি, এক দুষ্কৃতীর খোঁজে সেখানে তল্লাশিতে গিয়েছিল। যদিও পুলিশের দাবি উড়িয়ে দিয়ে শুভেন্দুর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই ‘হামলা’ হয়েছে। বাড়ির লোকের উপস্থিতি ছাড়া কী ভাবে অভিযান হতে পারে? সেই প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু। সে কথা ফোনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে গোটা বিষয়টি জানিয়েছিলেন শুভেন্দু।
এরইমধ্যে বুধবার বঙ্গে নির্বাচনী প্রচার মঞ্চে দাঁড়িয়ে এ বিষয়ে মুখ খোলেন অমিত শাহ। বললেন, “মমতা দিদি রেড করাচ্ছেন। কিচ্ছু পাওয়া যাবে না। আমাদের শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে রেড করিয়েছেন, ২৫ পয়সাও পাওয়া যায়নি। আমাদের নেতার বাড়িতে রেড করলে কিচ্ছু পাওয়া যাবে না। আমাদের এইভাবে ভয় পাওয়ানো যাবে না। যত সন্ত্রাস করবেন, ততই পদ্ম ফুটবে।”