Mamata vs Suvendu: শুভেন্দুর ‘নতুন নাম’ দিলেন মমতা, শুনে বিরোধী দলনেতা বললেন…
Suvendu Adhikari: মমতার বক্তব্য শুরু হতেই ওয়াকআউট করেছিলেন বিজেপি বিধায়করা। তাই মমতার মুখে শুভেন্দুর জন্য এই নতুন ডাকের সময় সামনাসামনি ছিলেন না শুভেন্দু।
কলকাতা : রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন থেকে সোমবার বিরোধীদের একের পর এক আক্রমণ শানাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তখনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশে বক্রোক্তি ছুড়ে দেন তিনি। শুভেন্দুর নতুন ‘নামকরণ’ও করেন মমতা। ‘দাদামণি’ বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দুকে। বলেন, “দাদামণি, আপনি যাদের চাকরি দিয়েছিলেন তাঁদের চাকরিও থাকবে তো? দু’দিন বাদে মন্দারমণির নাম বদলে দাদামণি হয়ে যাবে।” তখন অবশ্য শুভেন্দু অধিকারী এবং অন্যান্য বিজেপি বিধায়করা বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে ছিলেন না। মমতার বক্তব্য শুরু হতেই ওয়াকআউট করেছিলেন বিজেপি বিধায়করা। তাই মমতার মুখে শুভেন্দুর জন্য এই নতুন ডাকের সময় সামনাসামনি ছিলেন না শুভেন্দু।
তবে বিধানসভার বাইরে এই নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ‘দাদামণি’ সম্বোধনের বিষয় প্রসঙ্গকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, “আমাকে দাদামণি বলছেন কেন? আমাকে তো ভাইসোনা বলা উচিৎ। আমি তো ওঁর থেকে ১৭ বছরের ছোট।” সেই সঙ্গে শুভেন্দুর আরও সংযোজন, “আমার মনে হয় অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে দাদামণি বলেছেন। যাঁর একটা রঙের দোকান ছিল, এখন হাজার কোটি টাকার মালিক।”
উল্লেখ্য, অতীতে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে ‘দিদিমণি’ বলে সম্বোধন করতে শোনা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর গলায়। কিছুদিন আগে আচার্য বিল প্রসঙ্গে যখন শুভেন্দু রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করছিলেন, তখনও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, “দিদিমণির আর আচার্য হওয়া হবে না।”
শুভেন্দু অধিকারী দীর্ঘদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতি ছিলেন। মমতার সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন শুভেন্দু। এরপর নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে এখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তিনি। রাজ্যে বিরোধী দলনেতার ভূমিকায় আসার পর থেকেই বার বার রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে দেখা গিয়েছে শুভেন্দুকে। এবার রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে মমতার মুখে ‘দাদামণি’ সম্বোধন, এবং তারপর শুভেন্দুর পাল্টা খোঁচা সেই রাজনৈতিক লড়াইয়ে নতুন মাত্রা যোগ করল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।