Suvendu Adhikari: ‘রাজ্যসভার আসন নষ্ট করছে’, বহিরাগত ‘অস্ত্রে’ই মমতাকে বিঁধলেন শুভেন্দু
Suvendu Adhikari slams Mamata Banerjee: অসম এবং গোয়ায় তৃণমূলের টিকিটে যদি জেতার ক্ষমতা না থাকে, তার খেসারত বাংলাকে কেন দিতে হবে? প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু অধিকারী।
কলকাতা: প্রথমে সুষ্মিতা দেব। আর এবার লুইজিনহো ফালেইরো। দুজনের কেউই বাংলার নন। প্রথম জন অসমের নেত্রী। আর দ্বিতীয় জন গোয়ার নেতা। কিন্তু দুইজনকেই রাজ্যসভায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম জন আগেই রাজ্যসভার সাংসদ হয়ে গিয়েছেন। আর আজ দ্বিতীয় জনকে রাজ্যসভার প্রার্থী করার কথা ঘোষণা করেছে তৃণমূল।
আর এই নিয়েই এবার রাজ্যের শাসক দলকে একহাত নিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সরাসরি আক্রমণ শানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর অভিযোগ, ‘বাংলার মেয়ে’ আজ বহিরাগতদের প্রার্থী করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার আসন নষ্ট করছে। প্রথমে সুষ্মিতা দেব। আর এখন লুইজিনহো ফালেইরো। এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে কি বাঙালির গর্জে ওঠা উচিত নয়? অসম এবং গোয়ায় তৃণমূলের টিকিটে যদি জেতার ক্ষমতা না থাকে, তার খেসারত বাংলাকে কেন দিতে হবে? প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু অধিকারী।
“Banglar Meye” is squandering the Rajya Sabha seats from WB on “Bahiragotos”. After @SushmitaDevAITC now its @luizinhofaleiro. Shouldn’t Bengalis react to this deprivation? Why should Bengal pay if these people have no chance of getting elected on TMC tickets in Assam & Goa?
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) November 13, 2021
রাজ্যসভার সাংসদ হতে গেলে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকেই প্রার্থী হতে পারেন রাজ্যসভার জন্য। কিন্তু তারপরেও শুভেন্দুর এই আক্রমণে যথেষ্ট স্নায়ুর চাপ অনুভব করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। যতই হোক, বাংলার মানুষের মনে, শুভেন্দুর এই ‘বহিরাগত’ তত্ত্ব কীভাবে প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তিত জোড়াফুল শিবির। আর তাই বিকেলে তড়িঘড়ি সাফাই দিতে দেখা গেল তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি কুণাল ঘোষকে।
বহিরাগত তত্ত্বটি আসলে তৃণমূলই নিয়ে এসেছিল বাংলার রাজনীতিতে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গ রাজনীতিতে বহুল চর্চিত একটি শব্দ হল বহিরাগত। আর তার প্রভাবও দেখা গিয়েছে ইভিএমে। গেরুয়া ধ্বজার দুশো পার করার হুঙ্কার কার্যত দুরমুশ হয়ে গিয়েছিল। তাই বহিরাগত তত্ত্বের ‘মাহাত্ম্য’ ভালই বোঝেন তৃণমূল নেতারা। যদি এই বহিরাগত তত্ত্বই একবার বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে… তাহলে সামনেই পৌরভোট রয়েছে। আর সেই কারণেই আজ বহিরাগত শব্দের ব্যাখ্যা দিতে বসলেন কুণাল ঘোষ। বললেন, “যাঁরা শুধু মাত্র ভোটের জন্য ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেছেন, তাঁদের বহিরাগত বলা হয়েছে । শুভেন্দু অধিকারী কাল কা যোগী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি। বিজেপিকে প্রধানমন্ত্রীর লোকসভা কেন্দ্রের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “কারও বাড়ি গুজরাট, বেনারস থেকে দাঁড়াচ্ছে।”
আর শুধু নরেন্দ্র মোদীর কথাই নয়। জাতীয় রাজনীতিতে এমন হিসেব অনেক রয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তিনি নিজে তেলাঙ্গানার বাসিন্দা। অথচ রাজ্যসভায় উঠে এসেছেন অন্য রাজ্য থেকে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরও তাই। আর এতে ভুল কিছু নেই বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কিন্তু তারপরেও তৃণমূল নিজেদের বহিরাগত ‘অস্ত্রের’ ব্যাখ্যা দিতে চেষ্টা চালিয়ে গেল।
আরও পড়ুন : Luizinho Faleiro: অর্পিতার আসনে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূলের নয়া রাজ্যসভার সাংসদ ফেলেইরিও