Fire: চারতলার উপরে কালো ধোঁয়া দেখেই খটকা লাগে স্থানীয়দের, বাইরে বেরিয়ে দেখেন দাউ-দাউ করে জ্বলছে বাড়ি
Kolkata: তবে এলাকাবাসীরা কিন্তু অন্য দাবি করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, প্রতিদিনই ওই বাড়িটির ভিতর মদ, গাঁজার আসর বসত।
কলকাতা: রাতের শহরে ফের অগ্নিকাণ্ড (Fire)। রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে আগুন লাগার খবর সামনে আসে। দমকলের চেষ্টায় অবশেষে রাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
কলকাতার রিজেন্ট পার্ক থানার অন্তর্গত অশোকনগর বাজার। সেখানেই একটি বাড়ি তৈরি হচ্ছিল। রাত প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ এলাকাবাসী ওই বাড়ির ভিতর থেকে কালো ধোঁয়া দেখতে পান। সন্দেহ হয় তাঁদের। আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে এলাকায়। তখন আর কারও বুঝতে বাকি নেই যে ওই বাড়িটিতেই আগুন ধরে গিয়েছে। তৎক্ষণাত খবর দেওয়া হয় দমকলে। আগুন নেভাতে সেখানে আসে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন।
প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, বাড়িটি যেহেতু তৈরি হচ্ছিল সেই কারণে কাঠ-বাঁশ সহ প্রচুর প্লাইয়ের সামগ্রী মজুত ছিল। শর্ট-সার্কিট থেকেই কোনও ভাবে আগুন ধরে গিয়েছে। তবে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নেভাতে সচেষ্ট হয় দমকলবাহিনী। প্রায় পৌঁনে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তবে এলাকাবাসীরা কিন্তু অন্য দাবি করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, প্রতিদিনই ওই বাড়িটির ভিতর মদ, গাঁজার আসর বসত। তার কারণেই কোনও ভাবে আগুন ধরে গিয়েছে। এক এলকাবাসী বলেন, “এলাকার কয়েকজন ছেলেকে প্রায়সই আড্ডা মারতে দেখি ছাদের উপরে। মদা-গাঁজার আসর প্রতিদিনের ঘটনা। ওরা বাজিও ফাটাচ্ছিল ওইখানে। যার কারণেই আগুন ধরে গিয়েছে বলে মনে হয়।”
এক দমকলকর্মী জানান, “এখনও জানতে পারা যায়নি আগুন লাগার কারণ। তবে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ”
প্রসঙ্গত, গত পরশু নবান্ন চত্ত্বরে আগুন লাগে। নবান্নের (Nabanna) কাছে পূর্ত দফতরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। রাজ্য প্রশাসনিক কার্যালয়ের ঠিক পিছনের দিকে এই ঘটনা ঘটায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়।
নবান্নের ঠিক পিছন দিকে অবস্থিত পূর্ত দফতরের এই অস্থায়ী অফিসটি। দ্বিতীয় হুগলী সেতু থেকে মন্দিরতলা যাওয়ার রাস্তার নীচে জড়ো করে রাখা ছিল প্রতিমা নির্মাণের কাঠামো। সন্ধে ছয়টা নাগাদ সেই কাঠামোর খড়ে আগুন লাগে। প্রথমে দমকলের দুটি ইঞ্জিন কাজ করলেও পরে আরও দু’টি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে হাত লাগায়। এই মুহুর্তে আগুন নেভানোর কাজ করছে দমকলের চারটি ইঞ্জিন। আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
জানা গিয়েছে সেই অফিসের মিটার থেকেই একটি শর্ট সার্কিট হয়। সেই শর্ট সার্কিট থেকেই প্রথমে আগুন লাগে। আগুনের লেলিহান শিখা মুহুর্তের মধ্যেই গ্রাস করে অফিসের পিছনে গোডাউনে পড়ে থাকা কাঠামো ও শুকনো খড়ে। দাহ্যবস্তুর কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। নবান্নের কাছে থাকা দমকলের দুটি ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। যার ফলে আগুন বিধ্বংসী রূপ নিতে পারেনি।
আরও পড়ুন: Black Fungus: রক্ষা পাচ্ছে না ডেঙ্গু আক্রান্তরাও, ফের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের থাবা রাজধানীতে