Suvendu-Kunal: ‘ক্ষমতা হারানোর আগে আর একটি পার্টি অফিস হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে’, তৃণমূলকে খোঁচা শুভেন্দুর; প্রত্যুত্তর কুণালের
তৃণমূলও জায়গা দখল করছে এবং একের পর এক পাঁচতারা পার্টি অফিস হচ্ছে বলে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন কুণাল ঘোষ।
কলকাতা: হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে তৃণমূলের আরও একটি পার্টি অফিস! ছবি পোস্ট করে টুইটারে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। CPI (M)-এর মতো তৃণমূলও জায়গা দখল করছে এবং একের পর এক পাঁচতারা পার্টি অফিস হচ্ছে বলে টুইটারে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যদিও তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
টুইটারে কী লিখেছেন শুভেন্দু অধিকারী? গত ১৭ মার্চ ৩০বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে একটি বড় বাড়িতে তৃণমূলের দলীয় সম্মেলন হয়। সেই ঘটনা তুলে ধরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে জায়গা দখলের অভিযোগে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। CPI (M)-এর প্রসঙ্গ তুলে ধরে টুইটারে তিনি লেখেন, “একবছরও হয়নি ই এম বাইপাসের উপর ক্যানেল সাউথ রোডে একটি পাঁচতারা টিএমসি পার্টি অফিসের উদ্বোধন হয়েছে। আশ্চর্যজনক, তড়িঘড়ি ৩০-বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে আরও একটি পার্টি অফিস গড়ে উঠেছে, যেখানে গত ১৭ মার্চ চোরেদের কনফারেন্স হল।” এরপর দুটি বিরাট পার্টি অফিসের ছবি দিয়ে সিপিএম-এর সঙ্গে বর্তমান শাসকদলের তুলনা টেনে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, “CPI (M) যেমন ক্ষমতা হারানোর আগে অনেক সম্পত্তি তৈরি করেছিল, টিএমসি-ও পদচ্যুত হওয়ার আগে পার্টি অফিস করার উপর জোর দিচ্ছে।”
Not even a year has passed since the 5 Star TMC Party Office at Canal South Road off EM Bypass was inaugurated. Strikingly, the recent “Conference of Thieves” was held at a new swanky Party Office at 30-B, Harish Chatterjee Street on 17th March. TMC Assets popping up fast & how:- pic.twitter.com/hWr4VjGigW
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) March 20, 2023
শুভেন্দু অধিকারীর এই টুইটের অবশ্য প্রত্যুত্তর দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বিরোধী দলনেতা সহ কাঁথির অধিকারী পরিবারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “এতদিনের. এতবড় দল তৃণমূল কংগ্রেস। যাদের এতগুলো এমপি, এমএলএ। তাদের আরও দু-একটা পার্টি অফিস হতে পারে না? কেবল কাঁথিতে একটা পরিবার থেকেই শিশির অধিকারী জিতে একবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিলেন, দিব্যেন্দু অধিকারী সাংসদ হয়েছিলেন, সৌমেন্দু অধিকারী পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছেন, তাহলে সারা বাংলায় তৃণমূলের দু-একটা পার্টি অফিস হতে পারে না!”