Ayan Sil: কোন চাকরির দর কত ছিল? অয়ন শীলের Rate Card ইডি-র হাতে
Ayan Sil: অয়ন শীলের পাঁচটি ল্যাপটপ, পাঁচটি ডেস্কটপ, দুটি ফোন ও একটা ম্যাক বুক উদ্ধার করেছে ইডি।
কলকাতা : আপাত দৃষ্টিতে পেশায় প্রোমোটার অয়ন শীল (Ayan Sil), আবার তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার মালিকও বটে। সেই অয়ন শীলকে ধরতে পেরেই কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি মনে করছে, তারা সোনার খনিতে প্রবেশ করেছে। তাঁর হাত ধরেই উটে আসবে নিয়োগ কেলেঙ্কারির তথ্য, যা নাকি সোনার মতো মূল্যবান! কীভাবে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন সল্টলেকের অয়ন শীল? সে তথ্য় জানতেই তাঁকে হেফাজতে নিতে চায় কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি (ED)। তার আগেই অয়নের চাকরি বিক্রির তথ্য সামনে আনলেন তদন্তকারীরা। আদালতে ইডি দাবি করেছে, বিভিন্ন পদের জন্য বিভিন্ন রকমের দাম হাঁকতেন অয়ন শীল।
অভিযোগ, চাকরি প্রার্থীদের ‘রেট’ দিতেন অয়ন। কম্পিউটার, ল্যাপটপ খতিয়ে দেখা গিয়েছে, গ্রপ ডি-র বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার জন্য চাওয়া হত ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা, আর গ্রুপ সি পদের দর ছিল ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। এমনকী শ্রমিক, চালক, সাফাইকর্মীর মত পদে কাজ দেওয়ার জন্যও ৪ লক্ষ টাকা করে চাওয়া হত। সেই রেট কার্ড ইতিমধ্যেই আদালতে পেশ করেছে তদন্তকারী সংস্থা।
অয়ন শীলের পাঁচটি ল্যাপটপ, পাঁচটি ডেস্কটপ, দুটি ফোন ও একটা ম্যাক বুক উদ্ধার করেছে ইডি। সেই সব ডিজিটাল প্রমাণ থেকেই ওই রেট কার্ড মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর এখনও পর্যন্ত ৩০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে অয়ন শীলের।
৩৭ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানো হয়েছে অয়ন শীলের বাড়িতে। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ওএমআর শিট, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, পুরসভার চাকরি সংক্রান্ত নথিও উদ্ধার হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সমস্ত নিয়োগের ক্ষেত্রেই টাকার বিনিময়ে যে কারবার চলত, তা নিয়ন্ত্রণ করতেন অয়ন শীল। সেই টাকা যেত আবাসন ব্যবসায়।