Suvendu Adhikari: ‘চাকরিহারাদের জন্য আপনিই সুুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসাবে লড়ুন’, সওয়াল তুললেন শুভেন্দু
Suvendu Adhikari: নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরই বিধানসভার বাইরে সাংবাদিক বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, "আমি অন রেকর্ড বলছি, সরকারের কাছে সুযোগ রয়েছে, তিন মাসের কোনও সীমাবদ্ধতা নেই। রিভিশন পিটিশন ফাইল করেছে আজকে। কিন্তু টেকনিক্যালি শুনানির দিন যোগ্যের তালিকা ফেলে দেন।"

কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাতে চলেছে রাজ্য। সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই যাতে চাকরিহারাদের জন্য মামলা লড়েন, সেই দাবি তুললেন শুভেন্দু। সঙ্গে এও বললেন, যাতে সেদিনই সুপ্রিম কোর্টের যোগ্যদের তালিকা আইনজীবী হিসাবে নিজের হাতে পেশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরই বিধানসভার বাইরে সাংবাদিক বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আমি অন রেকর্ড বলছি, সরকারের কাছে সুযোগ রয়েছে, তিন মাসের কোনও সীমাবদ্ধতা নেই। রিভিশন পিটিশন ফাইল করেছে আজকে। কিন্তু টেকনিক্যালি শুনানির দিন যোগ্যের তালিকা ফেলে দেন।”
সেক্ষেত্রে কীভাবে সম্ভব, সেটারও পন্থা বলে দিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ” আপনি বলছেন, যোগ্যদেরই পাশ দিয়েছেন, যোগ্যরাই ভিতরে গিয়েছেন। তাহলে আপনার কথার ভিত্তিতেই বলছি, যোগ্যদের তালিকাটা আদালতে জমা দিন। তাহলেই দুধ আল জল আলাদা হয়ে যাবে। আমি অনুরোধ করব, সুুপ্রিম কোর্টে আপনি আইনজীবী হিসাবে যোগ্যদের তালিকা পেশ করুন।”
শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, ” যদি না সেই তালিকা পেশ করতে পারেন, তাহলে ২৩ লক্ষ চাকরিহারাদের আবার পরীক্ষায় বসতে হবে।”
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের কাছে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাবে রাজ্য। যাঁরা যোগ্য, তাঁদের চাকরি না কেড়ে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আবেদন জানাবে। চাকরিহারাদের জন্য রাজ্যের হয়ে সওয়াল করবেন অভিষেক মনু সিঙ্ভি, কপিল সিব্বল, রাকেশ দ্বিবেদী, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত ভূষণরা। তা না হলে বিকল্প ব্যবস্থার করা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
কিন্তু এদিনের বৈঠকের আগে থেকেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কয়েক হাজার চাকরিহারা ভিতরে ঢুকতেই পারেননি। তাঁদেরকে পাশ দেওয়া নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। শুভেন্দু সে বিষয়ে বলেন, ” বিচার আসার সঙ্গে সঙ্গে বলেছিলেন, ৭ তারিখ ২৬ হাজারের সঙ্গেই বসব। কিন্তু সাত হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছে। তাতে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা, এই বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের অধিকাংশ জনই সেখানে ঢোকার সুযোগ পায়নি।” মুখ্যমন্ত্রী চাকরিহারাদের বক্তব্য শোনেননি, সে বিষয়েও শুভেন্দুর খোঁচা, “এই কর্মসূচিতে ইন্টারেকশন হয়নি, যাঁরা বঞ্চিত, তাঁদের কাউকে রাজ্যে প্রশাসনিক প্রধান আত্মপক্ষ সমর্থন করে কিছু বলতে দেয়নি।”





