Tapas Roy: ‘হ্যাট্রিক’ করা বিধায়ক তাপস রায়, তবু মন্ত্রী করেনি দল… ঘাসফুলেও বিঁধল কাঁটা?
Tapas Roy: ২০০১ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তাপস রায়। ২০১১ সাল থেকে বরানগরের বিধায়ক তিনি। পরপর তিন বছর এই কেন্দ্র থেকে লড়েছেন এবং জিতেছেন। ২০১৬ সালে বরানগরে দ্বিতীয়বার জেতার পর বিধানসভায় পরিষদীয় দলের উপ মুখ্যসচেতক হন তাপস রায়।
কলকাতা: সোমবারই তৃণমূলের সঙ্গে দু’দশকের সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন তাপস রায়। দীর্ঘদিনের রাজনীতিক তিনি। আটের দশকে ছাত্র রাজনীতি থেকে উত্থান তাপস রায়ের। কংগ্রেসি রাজনীতিতে তাপস রায় উত্তর কলকাতার নেতা প্রয়াত সোমেন মিত্রের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই এক সময় পরিচিত ছিলেন। কলকাতা পুরনিগমের কাউন্সিলর থেকে বিধায়ক, কংগ্রেস আমল থেকেই জনপ্রতিনিধি থেকেছেন তাপস রায়।
২০০১ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তাপস রায়। ২০১১ সাল থেকে বরানগরের বিধায়ক তিনি। পরপর তিন বছর এই কেন্দ্র থেকে লড়েছেন এবং জিতেছেন। ২০১৬ সালে বরানগরে দ্বিতীয়বার জেতার পর বিধানসভায় পরিষদীয় দলের উপ মুখ্যসচেতক হন তাপস রায়।
২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে তাপস রায়কে পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী করেছিল তৃণমূল। তবে ২০২১ সালে বরানগর থেকে ‘হ্যাট্রিক’ করলেও মমতার মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়নি তাপস রায়ের। তাপসের অনুগামীরা বলেন, পরপর তিনবার যিনি একই আসন জিতে দেখালেন, তাঁকে দল সেই মর্যাদাই দেয়নি।
এক সময় উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন তাপস রায়। তবে তার মেয়াদ ছিল ৮ মাসের মতো। এরপরই তাপসকে সরিয়ে সে স্থানে বসানো হয় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাপস রায় নিজেও বিভিন্ন সময় নানা সভামঞ্চে নিজের অসন্তোষের কথা তুলে ধরেছেন। দল তাঁকে পরে দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি করেছিল। তবে তাঁর অনুগামীদের মতে, তাপস রায়ের আরও অনেক বেশি কিছু পাওয়ার কথা ছিল। এক সভায় তাপস রায় নিজেই বলেছিলেন, “আমার মন্ত্রিসভায় স্থান হয়নি। ১২ বছরে আড়াই বছর মন্ত্রী ছিলাম। তার আগেও ছিলাম না, পরেও ছিলাম না। আমার থেকে বহু যোগ্যতায় ধারে কাছে নেই তাঁরা মন্ত্রী। কী হয়েছে তাতে?”