Tathagata Roy: ‘ঘুষ দেওয়া মাস্টারের থেকে হাতেখড়ি নেননি’, রাজ্যপালকে সাধুবাদ তথাগতর

CV Ananda Bose: তথাগত রায় বলেন, "আমি রাজ্যপালকে সাধুবাদ দেব তিনি ঘুষ দিয়ে মাস্টার হওয়া কোনও ভুয়ো শিক্ষকের থেকে শেখেননি।"

Tathagata Roy: 'ঘুষ দেওয়া মাস্টারের থেকে হাতেখড়ি নেননি', রাজ্যপালকে সাধুবাদ তথাগতর
তথাগত রায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 27, 2023 | 6:13 PM

কলকাতা: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) হাতেখড়ির অনুষ্ঠান ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। বিরোধী দলের অনেকেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন, জনসাধারণের করের সরকারি টাকার অপব্যবহারের তত্ত্ব নিয়ে। তবে ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা একদা বিজেপি নেতা তথাগত রায় (Tathagata Roy) বলছেন, খানিক নাটুকেপনা ছাড়া আর বিশেষ দোষের কিছু তিনি দেখতে পাচ্ছেন না এই হাতেখড়িতে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের হাতেখড়ির অনুষ্ঠানে খুব বেশি খরচ হয়নি বলেই মত তাঁর। টিভি নাইন বাংলার কথাবার্তা অনুষ্ঠানে এসে ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় সেই কথাই জানালেন তথাগত রায়। তবে একইসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে তির্যক মন্তব্য করে বললেন, “দু’টি ছোট ছেলেমেয়েকে ডেকে তাদের থেকে অ,আ,ক,খ লেখা শিখেছেন। আমি রাজ্যপালকে সাধুবাদ দেব তিনি ঘুষ দিয়ে মাস্টার হওয়া কোনও ভুয়ো শিক্ষকের থেকে শেখেননি।”

তথাগত রায় নিজেই দীর্ঘদিন রাজ্যপালের ভূমিকা পালন করেছেন। ত্রিপুরা ও মেঘালয় – উত্তর পূর্বের দুই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলে, রাজ্যপালের কাজ কী, কীভাবে রাজ্যপালকে নিজের দায়িত্ব পালন করতে হয়, সেসব ভালভাবেই জানা তথাগত রায়ের। তাঁর মতে, বাংলার রাজ্যপাল হাতেখড়ির বিষয়টি একটি ছেদো ব্যাপার। এখানে কিছুটা নাটুকেপনা ছাড়া আর দোষের কিছু দেখতে পাচ্ছেন না তিনি।

তাঁর ব্যাখ্যা, সরস্বতী পুজোর দিন ছোট ছেলেমেয়েরা স্লেটে হাতেখড়ি করে। ২৬ জানুয়ারি রাজ্যপালের সাংবিধানিক কর্তব্য হল, শহরের কিছু লোককে চা চক্রে আপ্যায়িত করা। ঘটনাচক্রে এবার এই দুটি একইসঙ্গে পড়ে গিয়েছে। সেই কারণে তাঁদের চা চক্রে আপ্যায়িত করেছেন এবং সঙ্গে এই হাতেখড়ি বিষয়টি জুড়ে দিয়েছেন। । হাতেখড়ির জন্য বেশি কিছু খরচ হয়নি। যেখানে চা চক্র হচ্ছিল, সেখানেই হাতেখড়ি হয়েছে। সঙ্গে তথাগত রায় এও বলেন, রাজ্যপালকে সরকারের পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে। কিন্তু তার মানে এমন নয় সরকার যা বলবে, সেটি যতই অসাংবিধানিক হোক বা অন্যায় হোক, তা রাজ্যপালকে চোখ বন্ধ করে মেনে নিতে হবে।