তারিখ এখনও অনিশ্চিত, কলকাতা বইমেলা নিয়ে তবু আশাবাদী গিল্ড

গত ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার, পুর নগরোন্নয়ন দফতরের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিধাননগর ময়দানের তিনটি মেলার উদ্যোক্তারা। ‘বিধাননগর মেলা’ ও ‘সরস মেলা’-র দিনক্ষণ নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছনো গেলেও বইমেলার নির্ঘণ্ট এখনও অনিশ্চিত-ই।

তারিখ এখনও অনিশ্চিত, কলকাতা বইমেলা নিয়ে তবু আশাবাদী গিল্ড
কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Dec 04, 2020 | 2:13 PM

কলকাতা :   বছর ঘুরতেই বই পাড়ায় শুরু হয় হইচই। বইমুখোদের খুশির দিন। কারণটা, কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা(Kolkata International Book Fair)। তবে, অন্যান্য বছরের থেকে এ বছরের ছবিটা অন্য। কোভিড আবহে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কতটা সফল হবে বইমেলার পরিকল্পনা তা নিয়ে সংশয়ী গিল্ড।

গত ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার, পুর নগরোন্নয়ন দফতরের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিধাননগর ময়দানের তিনটি মেলার উদ্যোক্তারা। ‘বিধাননগর মেলা’ ও ‘সরস মেলা’-র দিনক্ষণ নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছনো গেলেও বইমেলার নির্ঘণ্ট এখনও অনিশ্চিত-ই। স্বস্তির সুরে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন বইমেলার তারিখ পিছোলেও মেলা বন্ধ হবে না।

পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২১-এর জানুয়ারিতেই বইমেলা(Kolkata International Book Fair) শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বর্তমান পরিস্থিতিতে মেলা পিছিয়ে ফেব্রুয়ারিতেও হতে পারে বলে জানিয়েছেন গিল্ড সভাপতি। কোভিড(COVID-19) অতিমারি ও লকডাউনের ধাক্কায় মার খেয়েছে বই-ব্যবসা। ব্যস্ততাও কমেছে বইপাড়ায়। অন্যান্য বছরের থেকে অনেকটাই চাপ কম ছাপাখানাগুলিতে। এই অবস্থায় কত দ্রুত বইয়ের উৎপাদন সম্ভব তা নিয়েও চিন্তায় বই বিক্রেতারা।

এই দিনের বৈঠকে গিল্ডের আরও এক সদস্য অপু দের দাবি, বইমেলার জন্য কেবল পাঠকরা নন, বিক্রেতারাও উৎসুক। কিন্তু, লকডাউন ও আমফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভয়ানক ক্ষতি হয়েছে বইয়ের। প্রকাশকদের ঘুরে দাঁড়ানোর একমাত্র অবলম্বন বইমেলা। কিন্তু মেলা বাতিল হলে প্রকাশকদের দেউলে হয়ে যেতে হবে।

আরও পড়ুন : যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ায় তাঁবুতেই গ্রন্থাগার বানিয়ে জীবনের বার্তা শরণার্থী দিয়াবের

প্রসঙ্গত, বইমেলার জটিলতা কাটাতেই মুখ্যমন্ত্রীর চূড়ান্ত নির্দেশের অপেক্ষা করছে গিল্ড। নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই ভার্চুয়াল বইমেলার পরিকল্পনা করে গিল্ড। কিন্তু, পুজাবার্ষিকীর এমন অকালাবস্থা দেখে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল হয়।

প্রতিবছর আন্তর্জাতিক বইমেলায়(Kolkata International Book Fair) প্রায় সাড়ে ছ’শো প্রকাশনা ভিড় জমায়। কিন্তু, এই পরিস্থিতিতে তাঁরা কতটা উদ্যোগ নেবেন তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, এই বছর বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের শতবর্ষ পূর্তি ও বাংলা ভাগের ৫০ বছর। পূর্ব পরিকল্পনায় ২০২১-এ বইমেলার থিম বাংলাদেশ(Bangladesh) হবে বলেই নির্ধারিত ছিল। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বইমেলার উদ্বোধন করবেন এমনটাই জানা গিয়েছিল। বইমেলা নিয়ে বরাবরই উৎসুক বাংলাদেশ(Bangladesh)। কিন্তু, কোভিড পরবর্তী সিদ্ধান্ত কী হবে, কোভিড প্রোটকল মেনে কীভাবেই বা চলবে বইমেলা তা নিয়ে সংশয়ী বাংলাদেশও। ওয়াকিবহালের মতে, এখন একমাত্র আশা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও আগাামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে জেলা বইমেলা। চলবে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আবারও চেনা ছন্দে ফিরতে পারে কলকাতা বইমেলা এমন আশাতেই বুক বাঁধছে গিল্ড।