Arambagh: ‘ও তো সেরকম ছেলে ও নয়’, আহসানের আল কায়দা যোগ শুনেই বিস্মিত আরামবাগের বাসিন্দারা
Arambagh: গ্রামবাসীদের দাবি, এলাকায় এলেও বিশেষ কারও সঙ্গেই মেলামেশা করতেন না কাজি। চুপচাপই থাকতেন। বাড়ি এলে বাজারে মাঝামাঝি ঘোরাঘুরি করতে দেখা যেত আহসানকে।
আরামবাগ: এলাকার ছেলে যুক্ত নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে! এ কথা শুনেই চোখ কপালে তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিজের ছেলের কর্মকাণ্ডের কথা বিশ্বাসই করতে পারছেন না মা ফরিদা বিবি। বুধবার সন্ধ্যায় বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার শাসন এলাকা থেকে কাজি আহসান উল্লাহকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। গ্রেফতার করা হয় আব্দুর রাকিব সরকারকে। দুজনেই আল কায়দার (AQIS Terrorist) ভারতের শাখা সংগঠন আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্ট বা আকিস-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ধৃত আব্দুর রাকিব সরকার দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা। কাজি আহসান উল্লাহর বাড়ি হুগলির আরামবাগে (Arambagh in Hooghly)। কাজি আহসানের গ্রেফতারির পর থেকেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে আরামবাগে।
কাজি আহসানের বাড়ি আরামবাগের সামতা গ্রামের কাজী পাড়ায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ছোট থেকে বাইরে থেকে পড়াশোনা করেছেন তিনি। তারপর কর্মজীবনের শুরু থেকে কখনও থেকেছেন হাওড়ায়, কখনও থেকেছেন বা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায়। সূত্রের খবর, দেশের বাড়ি আরামবাগের সামতায় খুব কম যাতায়াত ছিল হাসানের। আরামবাগ শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে ছোট গ্রাম সামতা। এই গ্রামের মূল বাজার থেকে কিছুটা দূরে পাড়ার একবারে শেষে প্রান্তে ছোট্ট একটা পাকা বাড়ি রয়েছে তাঁদের। এখানেই থাকেন কাজির মা ফরিদা বিবি। বাবা কাজী সফিউল্লাহ কর্মসূত্রে থাকেন বর্ধমানে।
গ্রামবাসীদের দাবি, এলাকায় এলেও বিশেষ কারও সঙ্গেই মেলামেশা করতেন না কাজি। চুপচাপই থাকতেন। বাড়ি এলে বাজারে মাঝামাঝি ঘোরাঘুরি করতে দেখা যেত তাঁকে। এছাড়া বাড়ির বাইরে বিশেষ তাঁকে বের হতে দেখাই যেত না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়া। কিন্তু, সেই ছেলে যে একেবারে জঙ্গি সংগঠনে নাম লিখিয়েছে তা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না পাড়া প্রতিবেশীরা। কাজি প্রসঙ্গে এলাকার এক যুবক বলেন, “আমার থেকে খুব বেশি হলে ১-২ বছরের বড় হতে পারেন। আমরা একসঙ্গে খেলাধূলো করেছি, পড়াশোনা করেছি। উনি তো মনে হয় গাড়ি চালান, আর পুরনো গাড়ি কেনাবেচার কাজ করেন বলে শুনেছি। কাজের কারণেই বাইরে থাকেন। কিন্তু, আমরা বুঝতেই পারছিনা কী সন্দেহে তাঁকে আল কায়দা হিসাবে ধরা হল। সেরকম তো ছেলে ও নয়। এরকম কাজ ও করতে পারে আমরা বুঝতে পারছি না। এমনিতে ওর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। একটা বাচ্চাও রয়েছে।” মা ফরিদা বিবি বলেন, “বিয়ের পর ৫-৬ বছর ধরে বাইরে থাকে। নিজের পছন্দেই বিয়ে করেছিল। আগে অনেকদিন অন্তর বাড়ি আসত। এখন কিছুদিন ঘনঘন আসছিল। কী করে এসব হল কিছুই জানি না।”