Calcutta University: রাজ্যের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই সিন্ডিকেট বৈঠক, TMCP-র বিক্ষোভে উত্তাল CU-র ক্যাম্পাস
Calcutta University: প্রসঙ্গত, এর আগেও সিন্ডিকেট মিটিং নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সিন্ডিকেট বৈঠকে আপত্তি জানিয়ে রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিয়েছিল বিকাশ ভবন। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য নেই, তাই রাজ্য সরকারের থেকে অনুমতি না নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠক ডাকা আইন বিরুদ্ধ বলে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
কলকাতা: শিক্ষাক্ষেত্রে আবার সংঘাতে জড়ালো রাজভবন ও বিকাশ ভবন। রাজ্যের অনুমতি ছাড়াই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে গেল সিন্ডিকেট বৈঠক। একাধিকবার বৈঠক নিয়ে রাজ্যের অনুমতি চাইলেও তা মেলেনি। ফলত, বিনা অনুমতিতে বৈঠক হওয়ায় রাজভবন-বিকাশ ভবনের সংঘাতের মাত্রা আরও চড়ল।
এ দিকে, মঙ্গলবার বৈঠক চলাকালীন বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজস্ট্রিট ক্যাম্পাস। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতা বলেন, “আরও একবার রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রেখে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বেআইনি সিন্ডিকেট মিটিং হল। রাজ্য সরকার নোটিস দিয়েছে। তারপরও অস্থায়ী উপাচার্য রাজ্যপালের ডেপুটি হয়ে কাজ করছেন। উনি রাজ্যপালের দলদাস হয়ে গিয়েছেন। আর ওনারা এই মিটিংটা করছেন।” অপরদিকে, মিটিং শেষে বের হওয়ার পর বিস্ফোরক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বতী উপাচার্য সান্তা দত্ত। তিনি বলেছেন, “কোনও প্ররোচনা রয়েছে ছাত্রদের ক্ষেত্রে।”
প্রসঙ্গত, এর আগেও সিন্ডিকেট মিটিং নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সিন্ডিকেট বৈঠকে আপত্তি জানিয়ে রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিয়েছিল বিকাশ ভবন। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য নেই, তাই রাজ্য সরকারের থেকে অনুমতি না নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠক ডাকা আইন বিরুদ্ধ বলে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমান উপাচার্য সান্তা দত্ত যেহেতু কেবলমাত্র উপাচার্যের কাজকর্ম সামলাচ্ছেন। এমন অবস্থায় রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া সিন্ডিকেট বৈঠক ডাকা পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৯-এর পরিপন্থী বলেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশের তোয়াক্কা না করে কার্যত মঙ্গলবার সিন্ডিকেট হয়ে গেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে।