Abhishek Banerjee: অভিষেকের জয় সুপ্রিম কোর্টে, আর বাধা রইল না বিদেশ যাত্রায়

Abhishek Banerjee: অভিষেকের বিদেশ সফরে কোনও বাধা নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

Abhishek Banerjee: অভিষেকের জয় সুপ্রিম কোর্টে, আর বাধা রইল না বিদেশ যাত্রায়
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 05, 2022 | 3:13 PM

নয়া দিল্লি: কয়লা কাণ্ডে একাধিকবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির জেরার মুখে পড়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের শীর্ষ আদালত আগেই জানিয়েছিল, তৃণমূল সাংসদদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সোমবার তৃণমূল নেতাকে আরও স্বস্তি দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অভিষেকের বিদেশ সফরে বাধা দিতে পারবে না।

প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙভি এবং কপিল সিব্বল তৃণমূল সাংসদের হয়ে এদিন সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন। বিপরীত দিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হয়ে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। সওয়াল-জবাব শেষে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের বেঞ্চ অভিষেককে বিদেশ সফরের অনুমতি দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের এই রায়ে স্বভাবতই স্বস্তিতে সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। বিদেশ সফরে অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি শীর্ষ আদালত এদিন জানিয়েছে, অভিষেকের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না।

কলকাতা হাইকোর্টের থেকে এক সপ্তাহ সময় নিয়ে চোখের চিকিৎসা করাতে সম্প্রতি অভিষেক দুবাইতে গিয়েছিলেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এবার এক মাসের জন্য চিকিৎসা করাতে তিনি দুবাই যাওয়ার অনুমতি চেয়ে শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন অভিষেক। তাঁর আইনজীবীরা শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছেন, অভিষেক অত্যন্ত ব্যস্ত একজন রাজনীতিবিদ। চোখের চিকিৎসা শেষ হলেই তিনি দেশে ফিরে আসবেন।

২ সেপ্টেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে প্রায় ৭ ঘণ্টা জেরা করেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। জেরা শেষে বাইরে বেরিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন অভিষেক। তিনি জানিয়েছিলেন, রাজনৈতিকভাবে লড়াইতে পেরে না উঠে ইডি-সিবিআই দেখিয়ে তাঁকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি কোনও অপরাধ করেননি, তাই তদন্তে সবরকমের সহায়তা করবেন। প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর রাজ্যের শাসকদলের ওপর ক্রমশই চাপ বাড়ছিল। এবার দলের ‘নম্বর ২’ আদালতের রায়ে স্বস্তি পাওয়ায় তা তৃণমূলের জন্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।