Tiljala Accident: আচমকাই পাঁচ তলা থেকে আছড়ে নীচে পড়লেন তিলজলার এক যুবক, মুহূর্তের ব্যবধানে পড়লেন তাঁরই বন্ধু, পড়শিরা যা বললেন…

Tiljala Accident: আপাতত পাপ্পুর সুস্থ হওয়ার আশায় রয়েছেন তদন্তকারীরাও। পাপ্পুই এই ঘটনার একমাত্র সাক্ষী। তাই তাঁর শারীরিক অবস্থার ওপর নজর রয়েছে তদন্তকারীদেরও।

Tiljala Accident: আচমকাই পাঁচ তলা থেকে আছড়ে নীচে পড়লেন তিলজলার এক যুবক, মুহূর্তের ব্যবধানে পড়লেন তাঁরই বন্ধু, পড়শিরা যা বললেন...
ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 04, 2022 | 11:33 AM

কলকাতা: ঈদের রাতে শহরে মর্মান্তিক ঘটনা। পাঁচ তলার ছাদ থেকে আচমকাই পড়ে মৃত্যু এক যুবকের। আশঙ্কাজনক আরও এক। ঘটনাটি ঘটেছে তিলজলার তারিখানা মোড় এলাকায়। মৃতের নাম মিঠুন দাস (২৪)। পাপ্পু রাম নামে অপর যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় আবার পাপ্পুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, পাপ্পুই ঠেলে মিঠুনকে নীচে ফেলে দিয়েছেন। তারপর টাল সামলাতে না পেরে নিজেও পড়ে গিয়েছেন। আদৌ ঠিক কী ঘটেছিল, সেটাই খতিয়ে দেখছে তিলজলা থানার পুলিশ।

মঙ্গলবার রাত তখন সাড়ে ন’টা বাজে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আচমকাই তাঁরা একটা ঝুপ করে কিছু একটা পড়ার শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন। সঙ্গে গোঙানির শব্দ। ছুটে এসে তাঁরা দেখেছিলেন, রক্তাক্ত অবস্থায় মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছেন মিঠুন। পাশেই পড়ে ছিলেন পাপ্পু রাম। তিনি কাতরাচ্ছিলেন। মিঠুনের শরীরের অবশ্য কোনও সাড় ছিল না।

স্থানীয়রাই তাঁদের দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা মিঠুনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পাপ্পু রামের কোমরে গুরুতর চোট রয়েছে। তাঁরও অবস্থা আশঙ্কাজনক। যাঁরা ওই দুজনকে রাতে উদ্ধার করেছিলেন, তাঁদের বক্তব্য, দুজনেই মত্ত ছিলেন। সেটা তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন।

নিহত মিঠুনের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পাপ্পুর সঙ্গেই হয়তো ছাদে কোনও ঝামেলা হয়েছিল মিঠুনের। পাপ্পুই কোনওভাবে ধাক্কা মেরে মিঠুনকে নীচে ফেলে দিয়েছিলেন। তারপর ভার সামলাতে না পেরে নিজেও পড়ে গিয়েছেন। কিংবা এমনটাও হতে পারে, মিঠুনও বাঁচবার জন্য পাপ্পুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন, তাতে দুজনেই একসঙ্গে পড়ে গিয়েছেন। কিন্তু কেন কী কারণে এই ঘটনা, তার কোনও সঠিক ‘ক্লু’ কেউই দিতে পারেননি। পুলিশ ঘটনার সূত্র খোঁজার চেষ্টা করছে।

আপাতত পাপ্পুর সুস্থ হওয়ার আশায় রয়েছেন তদন্তকারীরাও। পাপ্পুই এই ঘটনার একমাত্র সাক্ষী। তাই তাঁর শারীরিক অবস্থার ওপর নজর রয়েছে তদন্তকারীদেরও।

এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমরা তো বিশেষ কিছুই জানি না। হঠাৎ একটা শব্দ শুনতে পেয়েছিলাম। মনে হল ওপর থেকে যেন ঝুপ করে কিছু পড়েছে। তারপর তো দেখি এই ঘটনা। এমনিতে তো দুজনেই এলাকার ছেলে। একসঙ্গে ঘোরাফেরা করতে দেখেছি।”