Abhishek Banerjee: ঝড়-বৃষ্টিতে বসে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের কথা ভাবলে কষ্ট হয়: অভিষেক
Abhishek Banerjee: বুধবারই দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরেছেন অভিষেক। বাংলায় ফিরেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের গলায় সহমর্মিতার সুর। বললেন, "সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি দেখলে বুঝতে পারবেন, সরকার চাকরি দিতে চায়।"
কলকাতা: চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি সহমর্মী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবারই দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরেছেন তিনি। বাংলায় ফিরেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের গলায় সহমর্মিতার সুর। বললেন, “সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি দেখলে বুঝতে পারবেন, সরকার চাকরি দিতে চায়। যে চাকরিপ্রার্থীরা এতদিন ধরে রাস্তায় বসে আছেন, তাঁদের কথা ভাবলে আমাদের সকলেরই অত্যন্ত কষ্ট হয়। ঝড়-জল বৃষ্টিতে তাঁরা বসে আছেন। যাঁরা প্রকৃত চাকরিপ্রার্থী, তাঁরা সকলে যাতে চাকরি পান, এটা আমরা সকলে চাই।”
কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে সেটি থমকে রয়েছে বলেই মনে করছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বললেন, “গোটা বিষটি আদালতের নজরদারিতে চলছে। আমি যেটুকু জানি, রাজ্য নিজের তরফ থেকে আদালতকে লিখিতভাবে জানিয়েছিল যে কী করণীয় সেই বিষয়টি আদালত ঠিক করে দিক।”
উল্লেখ্য, অভিষেকের এই মন্তব্যের পর ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে দিয়েছে। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম পরিচিত মুখ শহীদুল্লাহ। আইনি জটের কথা মেনেও তাঁর বক্তব্য, সমাধানের ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে। শহীদুল্লাহ জানাচ্ছেন, ‘সরকারের তরফে চেষ্টা করা হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু প্রশ্ন হল, কেমনভাবে সেই চেষ্টা চালাচ্ছিল সরকার বা শিক্ষা দফতর, যে তা আদালতে আটকে গেল!”
ধর্মতলার গান্ধীমূর্তির পাদদেশের আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থী শহীদুল্লাহ বলছেন, “জটিলতা প্রথমে কারা তৈরি করল, সেটা বুঝতে হবে। যদি সুপার নিউমেরারি পোস্ট শুধুমাত্র যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের জন্য করা হত, তাহলে হয়ত এটা আদালতে আটকাত না। সেখানে এমন কিছু পয়েন্ট যোগ করে বিষয়টি উপস্থাপন করা হল, যা পড়তে গেলেই ভাবতে হয় আসলে কী বোঝাতে চেয়েছে শিক্ষা দফতর। সেখানে যোগ্য ও অযোগ্যকে মিলিয়ে মিশিয়ে একটা খিচুড়ি তৈরি করা হল।”