Partha Chatterjee Arrested: ‘নীতিবোধ থেকে সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়া উচিত’, ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট তৃণমূলপন্থী চিকিৎসক নেতার

TMC : চিকিৎসক সংগঠনের নেতা রেজাউল করিম লিখেছেন, "ব্যক্তিগত নীতিবোধ থেকে সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়া উচিত, যদি অনেক মানুষ আমার সততা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করে তাহলে কোন সামাজিক দায়িত্ববোধের দোহায় দিয়েও ক্ষমতার অলিন্দে থাকা উচিত নয়।"

Partha Chatterjee Arrested: 'নীতিবোধ থেকে সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়া উচিত', ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট তৃণমূলপন্থী চিকিৎসক নেতার
ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট ফেসবুকে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 24, 2022 | 11:18 AM

কলকাতা : তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর ঘরে-বাইরে অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধীদের দিক থেকে একের পর এক বাক্যবাণ ধেয়ে আসছে। নিশানায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস, রাজ্য সরকার… এমনকী তৃণমূলের সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাদ যাচ্ছেন না। এদিকে শনিবার সারাদিন কার্যত ‘চুপ’ থাকার পর সন্ধেয় সাংবাদিক বৈঠক করল তৃণমূল কংগ্রেস। জানিয়ে দেওয়া হল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে তৃণমূল এবং রাজ্য সরকার তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু, পার্থ চট্টোপাধ্যায় কি এখনও দল এবং মন্ত্রিসভায় থাকছেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর কৌশলে এড়িয়ে যায় তৃণমূল। অর্থাৎ, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আপাতত কোনও দায়িত্ব থেকে সরানো হচ্ছে না। তৃণমূলের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধীরা ইতিমধ্যেই সরব হতে শুরু করেছে।

এবার দলেরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তি বাড়ছে। ফেসবুকে পোস্ট করেছেন রেজাউল করিম। এমনিতে তিনি চিকিৎসক সংগঠনের নেতা হিসেবেই পরিচিত। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগে তিনি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বীরভূম থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সিপিএম প্রার্থী হিসেবে। পরবর্তী সময়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বিগত বিধানসভা নির্বাচনে ভাঙড়ের তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন নওশাদ সিদ্দিকীর কাছে। সেই রেজাউল করিমই শনিবার তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকের পর ফেসবুকে একটি লম্বা-চওড়া পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, “দল দলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দীর্ঘদিনের সৈনিককে নিরাপরাধ প্রমাণ করার সুযোগ করে দিয়েছে।”

তবে সেই সঙ্গে প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসের কথার সঙ্গে সহমত পোষণও করেছেন তিনি। লিখেছেন, “ব্যক্তি মানুষের নীতিবোধ তাঁর একান্ত নিজস্ব। উপেন বিশ্বাস সঠিক বলেছেন। যুব সমাজ যদি রাষ্ট্র-ব্যবস্থার উপর আস্থা হারিয়ে ফেলে তা সবার জন্য খারাপ। ব্যক্তিগত নীতিবোধ থেকে সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়া উচিত, যদি অনেক মানুষ আমার সততা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করে তাহলে কোন সামাজিক দায়িত্ববোধের দোহায় দিয়েও ক্ষমতার অলিন্দে থাকা উচিত নয়।” যদিও গোটা পোস্টে একবারের জন্যও তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করেননি তিনি।