Kalyani AIIMS: ‘এইমসে যাঁরা চাকরি পেলেন, তাঁদের টাকা ফেরত দিতে হবে না তো?’ পাল্টা তোপ তৃণমূলের
Kalyani AIIMS: গেরুয়া শিবিরের নেতারা নাকি তাঁদের আত্মীয় পরিজনদের চাকরি পাইয়ে দিচ্ছেন কল্যাণী এইমসে। সম্প্রতি এমনই অভিযোগ সামনে এসেছে।
কলকাতা : সম্প্রতি এসএসসি-কাণ্ডে সরগরম হয়েছে রাজ্য। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পরেশ অধিকারীর মত মন্ত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে নিজাম প্যালেসে। নিয়োগ দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে শাসক দলকে কার্যত কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছে বিজেপি তথা বিরোধীরা। আর এবার এ রাজ্যেই নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। বিরোধীদের তোপ দাগতে আপাতত সেটাই শাসক দলের অস্ত্র। শুক্রবার সেই অস্ত্রেই শান দিলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়।
কেন্দ্রের অধীনে থাকা কল্যাণী এইমসে পরিবারের লোকজনকে চাকরি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই তালিকায় রয়েছেন খোদ কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের নাম। সেই নিয়োগ বিতর্ক নিয়ে এ দিন তোপ দেগেছেন সুখেন্দু। তাঁর দাবি, যাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে কি না এবং টাকা ফেরত দিতে হবে কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন সুখেন্দু শেখর রায়। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতির কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, এসএসসি-তে কিন্তু বরখাস্ত করা হয়েছে এবং টাকাও ফেরত দিতে হয়েছে। তৃণমূল নেতা আরও জানান, এইমসে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। তবে পরীক্ষা ছাড়া, মন্ত্রীর সুপারিশে যারা চাকরি করছেন যাঁরা, তাঁদের চাকরি থাকবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান তিনি। কল্যাণীর ওই দুর্নীতিতে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি এই একই অভিযোগে পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁকে বেতন ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ, বিজেপি নেতাদের কারও মেয়ে, কারও পুত্রবধূ চাকরি পেয়েছেন কল্যাণী এইমসে। আর সেই চাকরি হয়েছে যোগ্যতার ভিত্তিতে নয়, প্রভাব খাটিয়ে। ঘটনায় দুই সাংসদ সহ একাধিক নেতার নাম উঠে এসেছে। পদ্ম শিবিরের দাবি, এসএসসি-কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত হচ্ছে বলে এটা রাজ্যের পাল্টা চাল। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার ও সাংসদ জগন্নাথ সরকারও প্রভাব খাটাচ্ছেন বলেও অভিযোগ। এই অভিযোগ জানিয়ে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পার্থ চট্টোপাধ্যায় একটি চিঠি লেখেন অমিত শাহকে। এরপরই পুরো ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরাতে রাজনৈতিক অপচেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে কল্যাণী থানায় একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। তদন্তও শুরু করেছে সিআইডি।