Bappaditya Dasgupta: ‘মেয়ের কাছে মুখ দেখাতে পারছি না’, ‘পার্থ দা’-র বিরুদ্ধে কেলেঙ্কারির অভিযোগে ‘স্তম্ভিত’ বাপ্পাদিত্য

Bappaditya Dasgupta: পার্থ-র মানসপুত্র বলেই পরিচিত বাপ্পাদিত্য। তবে কেলেঙ্কারির বিষয়ে কিছু জানতেন না বলেই দাবি কাউন্সিলরের।

Bappaditya Dasgupta: 'মেয়ের কাছে মুখ দেখাতে পারছি না', 'পার্থ দা'-র বিরুদ্ধে কেলেঙ্কারির অভিযোগে 'স্তম্ভিত' বাপ্পাদিত্য
পার্থ-র সঙ্গে বাপ্পাদিত্য
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 26, 2022 | 6:28 PM

কলকাতা : পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই বিরোধী দলের অনেকেই আঙুল তুলেছেন মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের দিকে। পার্থ-র সঙ্গে একই সংস্থায় চাকরি দিয়ে শুরু কেরিয়ার। পরে পার্থ-র হাত ধরেই রাজনীতিতে আসা। শিল্পমন্ত্রীর মানসপুত্র বলেই চিহ্নিত করা হয় তাঁকে। কেউ কেউ বলছেন পার্থ-র দাক্ষিণ্যেই বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করছেন ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা কলকাতা পুরনিগমের মুখ্যসচেতক বাপ্পাদিত্য। কিন্তু বাপ্পাদিত্য বলছেন, চেনা ‘পার্থ’-র সঙ্গে বর্তমানের পার্থকে মেলাতেই পারছেন না তিনি। যাঁকে সামনে রেখে এগিয়ে চলা, সেই পার্থ-র নাম কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যাওয়ায়, মেয়ের কাছে মুখ দেখাতে পারছেন না বলেও দাবি করেছেন বাপ্পাদিত্য।

কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, পার্থ-র গ্রেফতারির পর বাপ্পাদিত্য নাকি এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে মঙ্গলবার দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল, সেখানেই রয়েছেন তিনি। TV9 বাংলার প্রশ্নের মুখে স্পষ্ট জানালেন, তিনি কোথাও যাননি। পুরনিগমের কাজই করছেন। নিজেকে ‘পার্থ দা-র অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ’ বলে দাবি করলেও তৃণমূল কাউন্সিলর বললেন, ‘সেই পার্থ দা-কে মেলাতে পারছি না।’

জানা যায়, আগে ইন্ডিয়া পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড নামে যে সংস্থায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় কাজ করতেন, সেই সংস্থাতেই এইচআর হিসেবে কর্মরত ছিলেন বাপ্পাদিত্য। সেখান থেকেই আলাপ। পার্থ-র কাছ থেকে কাজ শিখেছেন বলেও জানান কাউন্সিলর। এরপর বয়সে অনেকটাই বড় পার্থ-র হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ তাঁর। কার্যত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেই ‘মেন্টর’ হিসেবে মানতেন তিনি। সেই রাজনৈতিক গুরুর নাম এই ভাবে কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যাওয়ায় বাপ্পাদিত্য বলেন, ‘আমি স্তম্ভিত। আমার মেয়ে ক্লাস সিক্সে পড়ে। তাকেও মুখ দেখাতে পারছি না।’ তৃণমূল নেতা আরও জানান, তাঁর বাবার সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাদার। তাই এই ঘটনায় তাঁর গোটা পরিবারই স্তম্ভিত।

দীর্ঘদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্লাব হিসেবে পরিচিত নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বাপ্পাদিত্য। অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়কে পুজোর মডেল করার কথা উল্লেখ করলেও ব্য়ক্তিগত কোনও বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ তিনি। তিনি বলেন, ‘বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই না।’

কাউন্সিলরের বাড়ি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। কোথা থেকে এল এত টাকা? বাপ্পাদিত্যের দাবি, দেড় কাটা জমি তিনি কিনেছেন ঋণ নিয়ে। এ ছাড়া ২২ বছর ধরে চাকরি করছেন তিনি। আয়করও দেন নিয়মিত। তাঁর স্ত্রী পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তাই সাড়ে তিন তলা বাড়ি তৈরি করতেই পারেন বলে দাবি বাপ্পাদিত্যের।

তিনি আরও জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে শেষবার তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন পার্থ। ঘনিষ্ঠ হলেও বয়সের তফাৎ থাকায় ব্যক্তিগত স্তরে খুব বেশি আলোচনা হত না বলেই দাবি করেছেন বাপ্পাদিত্য। তবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে ইডি বা আদালত তাঁকে ডাকলে তিনি সহযোগিতা করবেন বলেই জানিয়েছেন।