Exclusive: Udayan Guha on BSF: ‘আজকেও বলব, কালও বলব’, বিএসএফ প্রসঙ্গে নিজের অবস্থানে অটল উদয়ন

Udayan Guha on BSF: "বিএসএফকে আমরা বলছি, 'ফার্স্ট লাইন অফ ডিফেন্স'। ফুটবল খেলায় গোলকিপার যেমন। এবার আমার কী প্রয়োজন ওই গোল কিপারকে গোল পোস্ট থেকে সরিয়ে হাফ লাইন বা ফরওয়ার্ড লাইনে দাঁড় করানো? তাহলে তো অন্যেরা এসে আমায় গোল দিয়ে যাবে''।

Exclusive: Udayan Guha on BSF: 'আজকেও বলব, কালও বলব', বিএসএফ প্রসঙ্গে নিজের অবস্থানে অটল উদয়ন
উদয়ন গুহ (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 18, 2021 | 12:08 AM

কলকাতা: বিধানসভায় বিএসএফের (BSF) আচরণের বর্ণনা দিতে গিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন দিনহাটার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। বিএসএফের একাংশের বিরুদ্ধে মহিলাদের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ করেন তিনি। তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে দানা বেঁধেছে নয়া বিতর্ক। যদিও নিজের অবস্থানে অনড় উদয়ন। টিভি নাইন বাংলার বিশেষ অনুষ্ঠানে তৃণমূল বিধায়ক জানালেন, ‘আমি যে কথাগুলো বলেছি, তা আজকেও বলব, কালকেও বলব।’

উদয়ন গুহ যোগ করেন, “ভরসা নেই (BSF) একবারও বলিনি। বিএসএফকে আমরা বলছি, ‘ফার্স্ট লাইন অফ ডিফেন্স’। ফুটবল খেলায় গোলকিপার যেমন। এবার আমার কী প্রয়োজন ওই গোল কিপারকে গোল পোস্ট থেকে সরিয়ে হাফ লাইন বা ফরওয়ার্ড লাইনে দাঁড় করানো? তাহলে তো অন্যেরা এসে আমায় গোল দিয়ে যাবে”।

বিধানসভায় তিনি বলেছেন, সীমান্তে যে পাচারের কথা বলা হচ্ছে তা বিএসএফের মদত ছাড়া হতে পারে না। টিভি নাইন বাংলার হোয়াট বেঙ্গল থিংকস টুডে শীর্ষক অনুষ্ঠানে তৃণমূল বিধায়ক যোগ করেন, “আমি যে কথাগুলো বলেছি, তা আজকেও বলব, কালকেও বলব। এটা আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলেছি। আমি যেখানে রাজনীতি করি, যেখানে আমার বাস, যে জেলায় আমি ছোট থেকে বড় হয়েছি, সেটা কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘেরা একটি জেলা। সেখানকার মানুষের যে অভিজ্ঞতা, সেই অভিজ্ঞতার কথা বলেছি”।

তিনি আরও বলেন, “সকাল সাতটা থেকে আটটা পর্যন্ত, দুপুরে ১২ টা থেকে একটা এবং বিকেলে ৪ টা থেকে ৫টা গেট খোলা থাকে সীমান্তে। এইবার যে মহিলা সাতটার সময় আইডেন্টিটি কার্ড জমা দিয়ে ওপারে গেলেন, সারাদিন কাজ করে বিকাল বেলা ফিরছেন, বা কোনও আত্মীয়ের বাড়ি থেকে সন্ধ্যেবেলা ফিরছেন, তখন সার্চ করার জন্য কোনও মহিলা নিরাপত্তারক্ষী থাকেন না। সব সময় যে সার্চ করা হয় না এটাও যেমন ঠিক। তবে কখনও সার্চ করার নামে মহিলাদের সঙ্গে যেটা হয় সেটাও সঠিক পদ্ধতি নয়”।

এদিকে তাঁর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিএসএফের এডিজি ওয়াইবি খুরানা বলেছেন, চার হাজার বিএসএফ মহিলা কাজ করছেন। তাঁরা বিভিন্ন সীমান্ত বাহিনীতে নিযুক্ত। তাছাড়া সিসিটিভির নজরদারি আছে। তার পরে এ রকম অভিযোগ দুর্ভাগ্যজনক।

এদিকে উদয়নবাবুর এই অভিযোগের সমালোচনা করেছে বিজেপি। একটা দুটো বিচ্ছিন্ন ঘটনা রয়েছে। কিন্তু তার জন্য পুরো বিএসএফ-কে নিয়ে তৃণমূল বিধায়কের এহেন মন্তব্য় সমীচীন নয় বলে টিভি নাইন বাংলার সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। রাজ্য বিজেপির সম্পাদকের অভিযোগ, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিএসএফের মনোবল ভেঙে দেওয়া গর্হিত কাজ। উদয়নের এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন তিনি। তাঁর পাল্টা দাবি, বিরোধী দলে থাকার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য পুলিশের সমালোচনা করেছেন। তাঁর মানে কি পুরো পুলিশ প্রশাসন খারাপ কাজ করে? কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নিয়ে বিএসএফ ফোর্সকে দায়ী করা একেবারেই উচিত নয় বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে মালদহের সিপিএম জেলা সম্পাদক অমর মিত্রের কথায়, বিষয় টি বিএসএফ ভাল-খারাপের নয়। তাঁরা পরিবার পরিজন ছেড়ে সীমান্ত পাহারা দেন। আম নাগরিকের মতো সুযোগ সুবিধা পান না। তাঁরা সীমান্তকে শান্ত রাখেন। কিন্তু মুষ্টিমেয় কয়েকজনের জন্য গোটা বাহিনি খারাপ হতে পারে না। তা র পর তিনি যোগ করেন , কিন্তু আমা দের প্রশ্ন, হঠাৎ বিএসএফের ক্ষমতা সীমান্তে ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হল কেন।

এদি কে ই বিতর্কের মধ্যে নিজের আগের অবস্থানে অটল থাকেন তৃণমূল বিধায়ক। তিনি দাবি করেন, কোনও ভুল মন্তব্য করেননি।

আরও পড়ুন: BJP Election Panel: দীনেশেই ভরসা বঙ্গ বিজেপির, নির্বাচনের প্রচার কমিটি ঘোষণা করল গেরুয়া শিবির