Singer KK Death: ‘কেকে-র মৃত্যু নিয়ে রাজ্যপালের মন্তব্য সীমাহীন বাড়াবাড়ি, রাজভবনেরও লজ্জা’, তোপ কুণালের

Singer KK Death: এটা কুরুচিপূর্ণ রাজনীতির পরিচয়। এটা রাজভবনেরও লজ্জা। কেকে-র মৃৃত্যু নিয়ে রাজ্যপাল মুখ খুলতেই আক্রমণ কুণালের।

Singer KK Death: 'কেকে-র মৃত্যু নিয়ে রাজ্যপালের মন্তব্য সীমাহীন বাড়াবাড়ি, রাজভবনেরও লজ্জা’, তোপ কুণালের
ছবি - তোপ কুণালের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 04, 2022 | 5:33 PM

কলকাতা: কেকে-র মৃত্যুর (KK’s Death) পর থেকেই তা নিয়ে নানা মহলে চলছে বিস্তর চর্চা। লেগেছে রাজনীতির রং। বিরোধী শিবিরের একাংশের দাবি নজরুল ভবনের (Nazrul Bhavan) অব্যবস্থার জেরেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছেন এই বিখ্যাত বলিউডি গায়ক (Bollywood Singer)। একইসঙ্গে প্রশ্নের মুখে পড়েছে প্রশাসনের ভূমিকা। যা নিয়ে বিগত কয়েক দিন ধরে তীব্র চাপান-উতর চলছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। এবার এ ইস্যুতে মুখ খুলতেই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (TMC spokesperson Kunal Ghosh) তোপের মুখে পড়লেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপালকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে কুণাল বলেন, “কেকে’র মৃত্যু নিয়ে রাজ্যপাল যা বলছেন তা সীমাহীন বাড়াবাড়ি। এটা একটা অনভিপ্রেত ঘটনা। কেকে অসুস্থ ছিলেন। কিন্তু, তা শেয়ার করেননি তার ম্যানেজারের কাছে। কেউ কোনও অভিযোগ করেননি উদ্যোক্তাদের কাছে। এটা একটা দুর্ভাগ্যজনক, কুরুচিকর রাজনীতি করছেন রাজ্যপাল। চরম দুঃখজনক ঘটনা। কুরুচিপূর্ণ রাজনীতির পরিচয়। এটা রাজভবনেরও লজ্জা”।

অন্যদিকে কেকে-র মৃত্যুর পর গোটা দেশের একটা বড় অংশ থেকে কলকাতাকে টার্গেট করা হচ্ছে। অনেকেই বলছেন কলকাতায় গাইতে না গেলে মরতে হত না কেকে-কে। এমনকী বিখ্যাত বাঙালি গায়ক রূপঙ্করের বাগচির ফেসবুক লাইভ নিয়েও বিস্তর বিতর্ক হয়। কেকে-র মৃত্যুকে কলকাতাকে টার্গেট করা প্রসঙ্গে কুণালের বলেন, “যেভাবে কলকাতাকে আক্রমণ করা হচ্ছে তা যথাযথ নয়। অভিজিৎ বা নচিকেতার কথা দেখুন। এরা বলছেন ভিড় ট্যাকল করে এরা অভ্যস্ত।”  একাধিক ইস্যু নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি এদিন বিজেপিকে আক্রমণ করতেও ছাড়েননি কুণাল। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষবাণ শানিয়ে কুণাল বলেন, “বিজেপি একটি লুপ্তপ্রায় শ্রেণীর প্রাণি। এরা পারস্পরিক লড়াইয়ে ব্যস্ত। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের দাম বাড়িয়ে চলেছে। বোঝা বাড়াচ্ছেন। সেই নীতি কেন্দ্রের সাফল্য বলে বোঝালে, মানুষ প্রত্যাখ্যান করবেন”।

প্রসঙ্গত, কেকে-র মৃত্যু নিয়ে সম্প্রতি রাজ্যপাল বলেন, “সঙ্গীত শিল্পী কেকে-র মৃত্যু সত্যিই বেদনাদায়ক। অনেক ভিডিয়ো আমার কাছে এসেছে। যাতে স্পষ্ট আয়োজকদের অসাবধানতা ও অব্যবস্থার জন্যই এমনটা হয়েছে। কী ভাবে ভিড় সামলো হবে তা আগে থেকে ঠিক করা উচিৎ ছিল। প্রতিক্ষেত্রেই চূড়ান্ত গাফিলতি ছিল”। রাজ্যপালের এ মন্তব্য নিয়েই বর্তমানে বিস্তর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। যা নিয়ে তোপ দাগেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। তাঁর দাবি, যেখানে একের পর এক তদন্তে দেখা যাচ্ছে অনুষ্ঠান আয়োজনে কোনও গাফিলতিই ছিল না। সেখানে রাজ্যাপালের এহেন মন্তব্য উস্কানিমূলক বলেই তাঁর মত। এমনকী এই ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকর প্রসঙ্গও টেনে আনেন। তাঁর দাবি, রাজ্যপাল না হয়ে তাঁর শুভেন্দুর আসনেই বসা উচিৎ ছিল।