Toaday Weather Update: মিগজাউমের প্রভাবে বাংলায় বৃষ্টি, কবে ঠিক হবে পরিস্থিতি?
Toaday Kolkata Weather Update: এখন মূলত পাকা ধান ঘরে তোলা হয়। সঙ্গে চাষ হয়ে থাকে আলু। অঘ্রাণ মাসে আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় কৃষিকাজে ডেকে আনছে সর্বনাশ। জেলায় জেলায় বৃষ্টির জন্য পাকা ধানের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনই মাটি ভিজে যাওয়ায় পিছবে আলু চাষ। ফলন কম হওয়ারও ইঙ্গিত মিলছে।
কমলেশ চৌধুরী, অসীম বেরা, তন্ময় বৈরাগী, হীরক মুখোপাধ্যায়
কলকাতা: সকাল থেকে মুখ ভার আকাশের। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে কলকাতা সহ সংলগ্ন অঞ্চলগুলিতে। জেলাগুলিতে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ দিকে বৃষ্টিপাতের জেরে মাথায় হাত কৃষকদের।
জানা যাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম এখন শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণাবর্তে পরিণত। ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে ছত্তীসগঢ়ে। তাও বৃষ্টির হাত থেকে মুক্তি নেই বাংলার। আজ কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। কাল থেকে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। শনিবার থেকে কমবে রাতের তাপমাত্রা। ফলত, অনুমান করা হচ্ছে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই শীতের আমেজ পেতে পারেন বঙ্গবাসী।
এখন মূলত পাকা ধান ঘরে তোলা হয়। সঙ্গে চাষ হয়ে থাকে আলু। অঘ্রাণ মাসে আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় কৃষিকাজে ডেকে আনছে সর্বনাশ। জেলায় জেলায় বৃষ্টির জন্য পাকা ধানের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনই মাটি ভিজে যাওয়ায় পিছবে আলু চাষ। ফলন কম হওয়ারও ইঙ্গিত মিলছে। শুধু তাই নয়, শীতের সবজি-ফুলচাষেও বড়সড় ক্ষতি। সবমিলিয়ে মিগজাউমের দাপটে মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা। অচিরেই আরও দামি হতে পারে চাল-আলু-সবজি।
রাত থেকে টানা বৃষ্টির জন্য আরামবাগের ডুবেছে আলুর ক্ষেত সহ সবজি জমি। কয়েকদিন আগে বসানো চন্দ্রমুখি আলু এই বৃষ্টিত পচন ধরে যাবে বলে মনে করছেন কৃষকরা। আজ সকাল থেকেই কোদাল হাতে মাঠে মাঠে ঘুরছেন কৃষকরা। আলু জমি সহ সবজি জমিতে বৃষ্টির জল জমেছে সেই জমা জল কোনও রকমে জমি থেকে কোদাল চালিয়ে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। অপরদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরেও একই অবস্থা। ঘাটাল মহকুমা জুড়ে চলছে বৃষ্টি। কৃষকরা বলছেন, আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস পেতেই হারভেস্টার মেশিন দিয়ে তড়িঘড়ি কাচা ধান কেটে নিয়ে আসা হয়েছিল কিন্তু সেই ধান রোদে না শুকাতে পেয়ে ক্ষতি হচ্ছে সেগুলিরও। বাঁকুড়াতেও গতকাল সন্ধ্যে থেকে প্রায় সর্বত্রই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এক মিনিটের জন্যেও সেই বৃষ্টিতে ছেদ পড়েনি। আজ সকাল থেকে বৃষ্টির বেগ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। অসময়ে এই লাগাতার বৃষ্টিতে আজ সকাল থেকে মানুষ কার্যত গৃহবন্দী। রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা।