Defamation case against Mamata Banerjee: ইস্তফা দেওয়া দুই প্রাক্তন এজি-তে আস্থা মমতার
Defamation case against Mamata Banerjee: রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনেরালের (এজি) পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, "দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ করিনি, তাই সরে এলাম।" আর এক প্রাক্তন এজি জয়ন্ত মিত্র ইস্তফা দিয়ে বলেছিলেন, "জীবন ও পেশার এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছি যেখানে এ সব আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তাই নিজেই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
কলকাতা: তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেই মামলায় তাঁর হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে লড়ছেন দুই আইনজীবী। দুই আইনজীবীই আবার রাজ্যের প্রাক্তন এজি। একসময় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে যাঁরা এজির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তাঁর হয়ে মামলা লড়ার জন্য সেই দুই প্রাক্তন এজির উপরই ভরসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মমতার সরকারের সময়েরই সেই দুই প্রাক্তন এজি হলেন সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ও জয়ন্ত মিত্র।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনেরালের (এজি) পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, “দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ করিনি, তাই সরে এলাম।” আর এক প্রাক্তন এজি জয়ন্ত মিত্র ইস্তফা দিয়ে বলেছিলেন, “জীবন ও পেশার এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছি যেখানে এ সব আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তাই নিজেই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” তিনি এ-ও বলেছিলেন, “চিরকাল শিরদাঁড়া সোজা রেখে চলেছি। যা ঠিক নয়, তার কাছে নত হতে শিখিনি।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে ইস্তফা দেওয়া এই দুই বর্ষীয়ান আইনজীবীকেই এদিন দেখা গেল মমতার বিরুদ্ধে রাজ্যপালের এই মামলায়।
প্রাক্তন এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এজলাসে জানান, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে সওয়াল করবেন। জয়ন্ত মিত্র আলাদা করে কিছু উল্লেখ না করলেও তিনিও মমতার হয়েই সওয়াল করবেন বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে রাজ্যের এজি কিশোর দত্তও মামলায় ছিলেন। তিনি সরকারের হয়ে সওয়াল করবেন।
অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, বর্তমান এজির বদলে কেন প্রাক্তন দুই এজির উপরেই আস্থা রাখলেন মমতা? আবার ইস্তফা দিলেও মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে সওয়াল করতে বর্ষীয়ান দুই আইনজীবী না করেননি বলেও খবর।
এদিন বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের কাছে রাজ্যপালের আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও কুণাল ঘোষ, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রায়াত হোসেনকেও মামলায় যুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা যাতে আগামিদিনে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মন্তব্য থেকে বিরত থাকে তার আর্জি জানানো হয়। আগামিকাল ফের শুনানি।