Kolkata: মোবাইল নিয়ে দুই বন্ধুর বিবাদ, ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু মায়ের
Kolkata: এসে হালিমা বিবিকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু, শেষ রক্ষা আর হয়নি। বড় ক্ষতি হয়ে যায় আশরাফের পরিবারের।
মহেশতলা: মোবাইল ফোন চুরি করা নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে তুমুল ঝামেলা। হাতাহাতি, রক্তারক্তি, শেষে পর্যন্ত মৃত্যু এক মহিলার। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে মহেশতলায় (Maheshtala)। সূত্রের খবর, মহেশতলা পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডেই বাস জুম্মান মোল্লা ও আশরাফ মণ্ডলের। একটি মোবাইল চুরি নিয়ে একদিন আগে দুই বন্ধুর মধ্যে তুমুল কথা কাটাকাটি হয়। তারপর তা গড়ায় মারামারিতে। খানিক পরে, আপাতভাবে পরিস্থিতি শান্তও হয়ে উঠেছিল। কিন্তু, তখনও বাজেনি শেষ বিপদ ঘণ্টা।
অভিযোগ, এরইমধ্যে জুম্মান ও তাঁর পরিবারের লোকজন আশরাফের বাড়িতে চড়াও হয়। ফের শুরু হয় বচসা। তা গড়ায় হাতাহাতি। এদিকে আশরামের মা হালিমা বিবি ঝামেলা থামাতে গেলে তাঁর বুকে সজোরে ধাক্কা মারা হয় বলে অভিযোগ। তাতেই তিনি পড়ে যান। এদিকে ঝামেলার খবর, ততক্ষণে চলে গিয়েছে পুুলিশের কাছে। পুলিশ এসে হালিমা বিবিকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু, শেষ রক্ষা আর হয়নি। বড় ক্ষতি হয়ে যায় আশরাফের পরিবারের। চিকিৎসকেরা হালিমা বিবিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মহেশতলা থানার পুলিশ।
ইতিমধ্যেই জুম্মানের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছে আশরাফের পরিবার। পরিবারেরই সদস্য মোর্তজা মণ্ডল বলেন, “খুবই গালাগালি চলছিল তখন। ধাক্কাধাক্কিও হচ্ছিল। জুম্মান আলী মোল্লা ওর ভাই আক্কাস আলী মোল্লা, আমরালী মোল্লাদের নিয়ে ঝামেলা করতে থাকে। আশরফকে মারধর করে। তখনই হালিমা বিবি বাঁচাতে গেলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। জুম্মান আবার হালিমা বিবিকে ঘুষিও মারে। তারফলেই এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। দোষীদের শাস্তি চাই। জুম্মান তো সারাক্ষণ মদ খেয়ে থাকে, দাদাগিরি করে সবসময়।”