ভবানীপুরে দুই সম্ভাব্য মুখ বিজেপির, মুখোমুখি মমতা-রুদ্র?

Bhwanipur: এদিন হেস্টিংসে বৈঠকের পর বিজেপি সূত্রে ভবানীপুর কেন্দ্রে একাধিক নাম ভেসে আসছে। একটি সূত্র বলছে ৬ জন। অন্য সূত্র বলছে তিনজনের নাম গিয়েছে দিল্লিতে। তবে তাতে কমন নাম রুদ্রনীল ঘোষ।

ভবানীপুরে দুই সম্ভাব্য মুখ বিজেপির, মুখোমুখি মমতা-রুদ্র?
অলংকরণ: অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2021 | 11:59 PM

কলকাতা: ভবানীপুরের উপনির্বাচনে তাঁরা সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী কে হবেন সেটা নিয়েও বঙ্গ বিজেপি কার্যত হিমশিম খেয়েছে। দিলীপ ঘোষ নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন, ভবানীপুরে প্রার্থী হওয়ার জন্য অনেককে অনুরোধ করা হলেও কেউ সাড়া দিচ্ছেন না। মঙ্গলবার হেস্টিংসের বিজেপি অফিসে টানা বৈঠকের পর অবশেষে ৬ জনের নাম কেন্দ্রীয় বিজেপির কাছে পাঠাল বঙ্গ বিজেপি। যদিও আরেকটি সূত্র বলছে, দুটি নামের মধ্যে একজনই হতে পারেন মমতার বিরুদ্ধে ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী। আর এই দুটি নাম হল রুদ্রনীল ঘোষ এবং তিস্তা দাস বিশ্বাস।

এদিন হেস্টিংসে বৈঠকের পর বিজেপি সূত্রে ভবানীপুর কেন্দ্রে একাধিক নাম ভেসে আসছে। একটি সূত্র বলছে ৬ জন। অন্য সূত্র বলছে তিনজনের নাম গিয়েছে দিল্লিতে। তবে তাতে কমন নাম রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি বাদে যে নাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছেন, তিনি কলকাতা পুরসভার বিজেপির এক কাউন্সিলর। তাঁর নাম তিস্তা বিশ্বাস। তবে ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডের এই বিজেপি কাউন্সিলর কেন প্রাধান্য পাচ্ছেন প্রার্থী তালিকা তা এখনই পরিষ্কার নয়।

প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে ২৮ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন তৃণমূলের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি পদত্যাগ করায় এবার সেখানে প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। তাঁকে রেকর্ড ভোটে জেতানোর লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছে শাসক দল। সবমিলিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে বিজেপি-র হয়ে ভবানীপুরে প্রার্থী দিতে চলেছে। সে ক্ষেত্রে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে চলেছেন একদা তাঁর ঘনিষ্ঠ অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।

রুদ্র অবশ্য আগেই বলেছেন, চ্যালেঞ্জ নিতে তিনি প্রস্তুত। তিনি বলেছেন, বিজেপি যদি প্রার্থী হিসেবে মনে করে তিনি দলীয় নির্দেশ মেনে চলবেন। দল চাইলে দাঁড়াবেন। অন্য কাউকে প্রার্থী করতে চাইলেও সহযোগিতা করবেন। নন্দীগ্রামে মমতার পরাজয়ের কথা স্মরণ করিয়ে রুদ্রনীল এও বলেছেন যে,’দল আমার নাম ঠিক করলে দু’জন পরাজিত প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে।’ সেই ভবানীপুরে কি তিনিই প্রার্থী হবেন? সম্ভাবনা প্রবল।

এছাড়াও অবশ্য বেশ কয়েকটি নাম ভেসে আসছে। তার মধ্যে রয়েছেন, সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর নামও। উল্লেখযোগ্যভাবে কেউ কেউ বলছেন এবারের তালিকায় রয়েছেন তথাগত রায়। যিনি এদিনই ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী খোঁজা নিয়ে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে টুইট করেছেন। তাছাড়া তালিকায় রয়েছেন একুশের ভোটে বোলপুরে কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যাওয়া শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ফাউন্ডেশনের অধিকর্তা অনির্বাণ গাঙ্গুলি। এছাড়া নাম প্রস্তাব করা হয়েছে প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ সরকার এবং প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল।

উল্লেখ্য, বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী অভিজিৎ সরকারকে ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বিজেপির একাংশ শহিদ পরিবারের কোনও সদস্যকে উপনির্বাচনে প্রার্থী করতে মতদান করেন। সে জায়গা থেকেই অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারের নাম কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পেশ করল রাজ্য বিজেপি।

তাছাড়া ২০১৪ সালে বিজেপিতে যোগ দেওয়া আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের নাম রাখাও তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, রাজ্য বিজেপির একাংশ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপক্ষে একজন মহিলাকে প্রার্থী করার ব্যাপারে যোগ দেন। এইই প্রেক্ষিতে প্রথমে ভেসে উঠেছিল একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের পুলিশ অফিসার ভারতী ঘোষ। কিন্তু বিজেপি নেত্রী ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রাজি হননি বলে খবর। সেই জায়গায় নির্বাচনে পর আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের নিয়ে আদালতে লড়াই করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। আরও পড়ুন: ভবানীপুর কেন্দ্রে একটি নয়, একাধিক সম্ভাব্য মুখ বাছল বিজেপি, কে হবেন মমতার প্রতিদ্বন্দ্বী?