Calcutta High Court: UGC-র আইনে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করার কোনও নিয়ম নেই, আবারও কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

Calcutta High Court: মঙ্গলবার এই মামলায় প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের পপর্যবেক্ষণ, যেহেতু এই সংক্রান্ত মামলা শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন, ফলে তার নিষ্পত্তি হলে, তিনি এই মামলা শুনবেন।

Calcutta High Court: UGC-র আইনে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করার কোনও নিয়ম নেই, আবারও কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা
কলকাতা হাইকোর্টImage Credit source: নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 22, 2023 | 2:10 PM

কলকাতা: রাজ্যপাল তথা আচার্যের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল আরও একটি জনস্বার্থ মামলা। মামলাকারীর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রাজেশ দাশ। তাঁর বক্তব্য, ইউজিসির আইনে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করার কোনও নিয়ম নেই। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় আইনে উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য করা গেলেও, তাঁকে কোনও ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। শিক্ষামন্ত্রী বা শিক্ষা দফতরের অনুমতি নিতে হয় এক্ষেত্রে।

মামলাকারীর আরও বক্তব্য, বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ১৩ জন অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিযুক্ত হয়েছেন রাজ্যপালের সিদ্ধান্তে। যারা বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত একাধিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। মামলাকারী অধ্যাপকের অভিযোগ, উপাচার্য হিসাবে যখন ক্ষমতাই নেই, তাহলে কীভাবে বৈঠক ডাকা, অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন নব নিযুক্ত অন্তর্বতী উপাচার্যরা।

মঙ্গলবার এই মামলায় প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের পপর্যবেক্ষণ, যেহেতু এই সংক্রান্ত মামলা শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন, ফলে তার নিষ্পত্তি হলে, তিনি এই মামলা শুনবেন।

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই এই মামলায় উপাচার্য নিয়োগ মামলায় রাজ্যপাল তথা আচার্যকে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি সূর্যকান্তর বেঞ্চর এই নির্দেশ, উপাচার্য নিয়োগ বিতর্কে সব পক্ষকেই পার্টি করতে হবে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, এই সময়ের মধ্যেই দু’পক্ষকে আলোচনায় বসতে হবে। কোনও সমাধানসূত্র বার করা যায় কিনা,তাও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

প্রসঙ্গত, এই বিষয়েই কলকাতা হাইকোর্টে আরও একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাকারী আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করেছে রাজ্য। তাতে ৫ সদস্যের মধ্যে ৩ জন রাজ্যের মনোনীত প্রতিনিধি থাকার কথা। বাকি দু’জনের মধ্যে একজন আচার্য, অন্যজন ইউজিসির প্রতিনিধি। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও প্রতিনিধিকে রাখা হয়নি। সেই বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা দায়ের হয়েছে।