UNESCO Durga Puja: দুর্গাপুজো নিয়ে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে কেন্দ্রের অনুষ্ঠান, এখনও পর্যন্ত আমন্ত্রিত নন রাজ্যের কোনও প্রতিনিধি
Amit Shah: শুক্রবার ৬ মে সন্ধ্যা ৬টায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সেন্ট্রাল হলে 'মুক্তি মাতৃকা' নামে এক অনুষ্ঠান করছে সংস্কৃতি মন্ত্রক।
কলকাতা: এখন ভরা বৈশাখ। আশ্বিনের শারদ সকাল আসতে বহুদূর। এরইমধ্যে দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে ফের রাজ্য-কেন্দ্র তরজা। বাংলার দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো (UNESCO) হেরিটেজের তকমা দিয়েছে। ‘কলকাতার দুর্গাপুজো’-কে ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটির তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। আর সেই স্বীকৃতিকে সামনে রেখে শুক্রবার কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে কেন্দ্রের বিশেষ অনুষ্ঠান রয়েছে। আমন্ত্রিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেই অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকারকে কোনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলেই অভিযোগ। যা ঘিরে ইতিমধ্যে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। শাসকদলের নেতারা যেমন বিজেপিকে এক হাত নিয়েছেন, একইভাবে সরব বাকি বিরোধীরাও। শুক্রবার ৬ মে সন্ধ্যা ৬টায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সেন্ট্রাল হলে ‘মুক্তি মাতৃকা’ নামে এক অনুষ্ঠান করছে সংস্কৃতি মন্ত্রক। এই অনুষ্ঠানের যে আমন্ত্রণপত্র সামনে এসেছে সেখানে দু’টি নাম রয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। সূত্রের খবর, এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে রাজ্যের কাছে এখনও কোনও আমন্ত্রণ আসেনি।
Durga Puja got UNESCO’s intangible heritage tag not for Shah-Modi, but for dedication of artisans, thematic artistes, organisers and unflinching support by @MamataOfficial Mamata Banerjee as CM. Now credit is capitalised by those who said Durga Puja not allowed in Bengal. pic.twitter.com/3AGyaKL2LQ
— Sukhendu Sekhar Ray (@Sukhendusekhar) May 5, 2022
শুক্রবারই নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আজ দুর্গাপুজোকে কোথায় নিয়ে গিয়েছি আমরা। ১০ বছর ধরে দুর্গাপুজোকে প্রোমোট করতে করতে এবং দুর্গাপুজোর কার্নিভালকে বর্ণাঢ্য করে তুলে ধরে ইউনেস্কো কালচারাল হেরিটেজ ঘোষণা করেছে। এটা আমরা চেষ্টা করে করেছি। অন্য কারও কোনও অবদান নেই। অবদান রয়েছে পুজো করে যেসব ক্লাবগুলোর, পুজো কমিটিগুলোর, অবদান রয়েছে সাধারণ মানুষের।”
অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় টুইটারে লেখেন, ‘দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল হেরিটেজ তকমা শাহ-মোদীর জন্য পায়নি। পেয়েছে শিল্পীদের অবদানের জন্য, থিমশিল্পী, আয়োজক এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অকুন্ঠ সমর্থনের জন্য। অথচ এখন সেই কৃতিত্ব তারা নিতে চাইছেন, যারা এতদিন বলেছেন বাংলায় দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হয় না।’
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও এ নিয়ে অসন্তুষ্ট। তিনি বলেন, “আমি এর বিরোধিতা করছি। প্রোটোকল মেনে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো উচিৎ। এই আমন্ত্রণ না জানানো মানে সঙ্কীর্ণ রাজনীতি করা, প্রতিহিংসার রাজনীতি করা, গণতন্ত্রের অবমাননা করা।”