Vegetable Market Price: রোহিত-বিরাটদেরও হার মানাচ্ছে পটল, ঢেঁড়শ, ধনেপাতা, বুঝুন ঠেলা
Vegetable Market Price: ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির জেরে কার্যত নাভিঃশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তের। লক্ষ্মীপুজোয় ভোগের বাজার করতে যে পকেটে টান পড়বে, তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। এই ভাবে মূল্যবৃদ্ধির পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
কলকাতা: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি, কিংবা রোহিত শর্মার ১৪০। এবারে বিশ্বকাপে ভারতীয় ব্যাটারদের এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায়। প্রত্যেকটি ম্যাচেই দুর্দান্ত পারফর্ম করতে দেখা গিয়েছে বিরাট কোহলিদের। তবে, বিরাটদেরকে সেয়ানে সেয়ানে টেক্কা দিচ্ছে সবজি বাজারের পটল, ঢেঁড়শ, বেগুন, ঝিঙেরা। পুজোর মধ্যে মনে হচ্ছে যেন তাদেরও বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে। পটল ১০০-এ ব্যাট করছে। ঢেঁড়শ করছে ১৫০-তে। বেগুন আবার সেঞ্চুরি করবে করবে। ধনেপাতা তো ছক্কা হাঁকাতে হাঁকাতে দু’শোই করে ফেলল। এখনও বাকি লক্ষ্মী পুজো। সবজি বাজারের এমন খেলা দেখে হতভম্ব গ্যালারিতে বসে থাকা ‘দর্শক’ মধ্যবিত্ত। বিক্রেতাদের দাবি, একাদশী থেকে দাম যেভাবে বাড়তে শুরু করেছে, তাতে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পকেটে রীতিমতো ছ্যাঁকা লাগবে। বিশেষ কিছু কারণে এভাবে দাম বাড়ছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে টাস্ক ফোর্সের নজরদারি নিয়ে। কলকাতার মানিকতলা বাজার থেকে শুরু করে ২৪ পরগনা বা মালদহ, সব জায়গাতেই সবজির পাইকারি দর চড়তে শুরু করেছে।
একাদশীর সকালে কলকাতার মানিকতলা বাজারে গিয়ে দেখা গেল, ভিড় প্রায় নেই বললেই চলে। বিক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহের থেকে এবছর দাম বেশ কিছুটা বেড়েছে। শহরের অন্যতম বড় এই বাজারে পটল ১০০ টাকা প্রতি কেজি, লঙ্কা ১৫০ টাকা প্রতি কেজি, গাজর ৪০ টাকা প্রতি কেজি, টমেটো ৪০ টাকা প্রতি কেজি, ফুল কপি ২০ টাকা প্রতি পিস, বেগুন ৮০ টাকা প্রতি কেজি, কুমড়ো ৪০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কোনও বাজারে ঢেঁড়শ ১০০ টাকা কেজি, কোথাও ধনেপাতার কেজি প্রতি দাম ২০০ টাকা।
দুটি কারণে বাজারদর বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় অঞ্চলে গেলে দেখা যাবে জমি থেকে সবজি উঠতে এখনও সময় লাগবে বেশ কিছুটা। কারণ প্রবল বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়েছে। নতুন করে বীজ রোপণ করতে হয়েছে। অন্যদিকে, ফড়েরা লক্ষ্মীপুজোর আগে হিমঘরে ফসল মজুত রাখার চেষ্টা করছে ফলে বাজারে সবজি পাওয়া যাচ্ছে না।
ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির জেরে কার্যত নাভিঃশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তের। লক্ষ্মীপুজোয় ভোগের বাজার করতে যে পকেটে টান পড়বে, তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। তার ওপর ছটপুজোতে আবারও দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।