DYFI: এবার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের’ হাত ধরেই তহবিল ভরাবে DYFI, ব্যাপারটা কী
DYFI: মমতার সরকারের অন্যতম বড় ও জনপ্রিয় একটি প্রকল্প হল 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার'। এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকেই হাতিয়ার করতে চলেছে ডিওয়াইএফআই। ব্যাপারটা ঠিক কী রকম? নাহ, এর সঙ্গে মমতার সরকারের 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার'-এর কোনও যোগ নেই। তাহলে ব্যাপারটা কীরকম?
কলকাতা: কৌটো করে কিংবা লাল শালু পেতে রাস্তা রাস্তায় ঘুরে দলীয় কর্মসূচির জন্য অর্থসংগ্রহ করতে অতীতে বার বার দেখা গিয়েছে বামদের। এবারও দলীয় কর্মসূচির জন্য তহবিল গড়তে সেই পথেই এগল বামেরা। তবে এবার একটু ভিন্ন আঙ্গিকে। এবার দলীয় কর্মসূচির জন্য বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর (DYFI) ভরসা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই (Lakshmir Bhandar)। হ্যাঁ, ঠিকই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের হাত ধরেই দলীয় কর্মসূচির জন্য তহবিল গড়তে ময়দানে নামছেন শ্বেত পতাকার ধারক-বাহকরা। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়দের (Minakshi Mukherjee) ইনসাফ যাত্রা ও ব্রিগেড সমাবেশের জন্য অর্থ সংগ্রহ করবেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাধ্যমে।
বুথে বুথে ঘুরবে DYFI-এর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার
মমতার সরকারের অন্যতম বড় ও জনপ্রিয় একটি প্রকল্প হল ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকেই হাতিয়ার করতে চলেছে ডিওয়াইএফআই। ব্যাপারটা ঠিক কী রকম? নাহ, এর সঙ্গে মমতার সরকারের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর কোনও যোগ নেই। রাজ্যে প্রায় ৮০ হাজার বুথ রয়েছে। প্রতিটি বুথ পিছু ৪-৫টি করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে করে সংগ্রহ করা হবে ইনসাফ যাত্রা ও ব্রিগেড সমাবেশের অর্থ। তবে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারগুলি সংশ্লিষ্ট এলাকার বাম কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে যাবে না। এগুলি পাঠানো হবে বাম কর্মী-সমর্থক বৃত্তের বাইরের অন্যান্য আম জনতার বাড়িতে। সেখানে এই মাটির তৈরি ভাণ্ডারগুলি ২০-২৫দিন করে রাখা থাকবে। এরপর আবার তা ফিরিয়ে আনবেন সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা।
দীর্ঘদিনের প্রচলিত রেওয়াজেই জোর
আম বাঙালির কাছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে অর্থ সঞ্চয় করার রীতি দীর্ঘদিনের। কখনও এক টাকা, কখনও দু’টাকা, কখনও আবার পাঁচ টাকা বা দশ টাকা করে সেই মাটির তৈরি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে সঞ্চয় করা হয়। এবার সেই রেওয়াজকেই হাতিয়ার করে অর্থ সংগ্রহ শুরু করছে ডিওয়াইএফআই। সিপিএমের যুব সংগঠনের তরফে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই মাটির তৈরি ভাণ্ডারগুলি দিয়ে অনুরোধ করা হবে সেইভাবেই কিছু কিছু করে টাকা জমানোর জন্য। দলীয় সূত্রে খবর, দিন কয়েকের মধ্যেই এই কর্মসূচি গতি পাবে।
কী ব্যাখ্যা DYFI-এর
কিন্তু ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ তো সরকারের কর্মসূচি। তাই সরাসরি এই শব্দটি ব্যবহার করতে নারাজ ডিওয়াইএফআই নেতৃত্ব। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে এক-দু’টাকা করে অর্থ জমানো তো বাঙালির দীর্ঘদিনের অভ্যাস। তারপরে সংসারে প্রয়োজনে পড়লে তা ভেঙে ব্যবহার করা হয়। সেটাই করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম তার মতো করে বিভিন্ন বিষয় যেমন ব্যাখ্যা করে থাকে, এখানেও তাই করছে হয়ত।
যদিও ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, ব্রিগেডের জন্য অর্থ সংগ্রহ বা যাবতীয় খরচ কোথা থেকে আসছে, তা ডিওয়াইএফআই-এর তরফে কয়েকদিনের মধ্যে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেওয়া হবে।
লোকসভা ভোটের আগে বড় কর্মসূচি DYFI-এর
ডিওয়াইএফআই নেতৃত্বের ব্যাখ্যা যাই থাকুক না কেন, আসন্ন ইনসাফ যাত্রা ও ব্রিগেড সমাবেশের আগে এই পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আগামী বছরের শুরুতেই, ৭ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশ রয়েছে ডিওয়াইএফআইয়ের। তার আগে ৩ নভেম্বর কোচবিহার থেকে শুরু হচ্ছে ইনসাফ যাত্রা, যার সমাপ্তি হবে ব্রিগেড সমাবেশের মধ্যে দিয়ে।