EPFO: প্রভিডেন্ট ফান্ডে শোচনীয় হাল বাংলার, কেন এত পিছিয়ে বাংলার চাকরিজীবীরা
EPFO: চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে ইপিএফও-র তথ্য ও পরিসংখ্যানে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গত আর্থিক বছরে অর্থাৎ, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ইপিএফও-র খাতায় নাম লেখানো চাকরিজীবীদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে অনেকটা তলানির দিকে। এ রাজ্য থেকে মাত্র ৩.৫২ শতাংশ চাকরিজীবী গত অর্থবর্ষে ইপিএফও-র তালিকাভুক্ত হয়েছেন।
কলকাতা: বাংলার কর্মসংস্থানের অভাব, এই অভিযোগ বিরোধীদের দীর্ঘদিনের। বাম হোক, বা কংগ্রেস, বা বিজেপি… কোনও শিবিরই এই নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিঁধতে ছাড়ে না। আর এসবের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে ইপিএফও-র তথ্য ও পরিসংখ্যানে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গত আর্থিক বছরে অর্থাৎ, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ইপিএফও-র খাতায় নাম লেখানো চাকরিজীবীদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে অনেকটা তলানির দিকে। এ রাজ্য থেকে মাত্র ৩.৫২ শতাংশ চাকরিজীবী গত অর্থবর্ষে ইপিএফও-র তালিকাভুক্ত হয়েছেন। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের তরফে এমপ্লয়িজ় প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজ়েশন বা EPFO-র গত অর্থবর্ষের তথ্য ও পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। সেখানেই উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের এই হালের কথা।
কেন্দ্রের পরিসংখ্যান বলছে, গত অর্থবর্ষে এমপ্লয়িজ় প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজ়েশনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ১ কোটি ৩৮ লাখেরও বেশি চাকুরিজীবী। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের রয়েছেন মাত্র ৪ লাখ ৮৮ হাজার চাকরিজীবী। শতকরার হিসেবে তা প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ। সেখানে মহারাষ্ট্রের পরিসংখ্যান বলছে, সে রাজ্য থেকে ৩০ লাখেরও বেশি চাকরিজীবী ইপিএফও-তে যোগ দিয়েছেন। শতাংশের হিসেবে যা ২২ শতাংশ। পরিসংখ্যানগত দিক থেকে ইপিএফও তালিকাভুক্ত চাকরিজীবীদের সংখ্যা অন্যান্য অনেক রাজ্যের থেকে পিছিয়ে বাংলা।
হিসেব বলছে, চলতি অর্থবর্ষেও অগস্ট মাসে পাঁচটি রাজ্য থেকে সম্মিলিতভাবে ৯ লাখ ৯৬ হাজার চাকুরিজীবী এমপ্লয়িজ় প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজ়েশনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, হরিয়ানা ও গুজরাট থেকে প্রায় ৬০ শতাংশ চাকরিজীবী যোগ দিয়েছেন ইপিএফও-তে।
বছর ঘুরতেই গোটা দেশে লোকসভা নির্বাচন। সেক্ষেত্রে ইপিএফও-তে বাংলার পিছিয়ে থাকার এই পরিসংখ্যান বিরোধী দলগুলির কাছে একটি হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।