Weather Update: অষ্টমী থেকে দশমীর মধ্যে কবে ভাসবে কলকাতা? কোন কোন জেলায় বেশি বৃষ্টি? স্পষ্ট করল দফতর
Weather Update: পুজোয় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উত্তর আন্দামান সাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে।
কলকাতা: এক টানা বর্ষণ, বানভাসি বাংলার বিস্তীর্ণ এলাকা। পুজোর মধ্যেও সেসব এলাকায় জল কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। হুগলি, ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকায় জল নামতে শুরু করেছে। কিন্তু যদি বৃষ্টি হয়? সেখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখছিলেন বানভাসিরা। আর খানিকটা সেই ভয়ই গাঢ় করল আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস।
পুজোয় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উত্তর আন্দামান সাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। নিম্নচাপের অভিমুখ ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূল। তার সরাসরি প্রভাব বাংলায় না পড়লেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে পুজোর দিনগুলোতে। জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
অষ্টমী থেকে দশমী পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ৬ অক্টোবর থেকে, উত্তর পশ্চিম ভারতে বর্ষা সাধারণত উল্টো পথে হাঁটতে শুরু করে। তবে বাংলা থেকে বর্ষা কবে বিদায় নেবে, তা এখনও বলতে পারছেন না আবহাওয়াবিদরা।
পুজো উদ্যোক্তরা তো বটেই, সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বানভাসি এলাকার মানুষরা। হুগলির আরামবাগ, খানাকুল, গোঘাট, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, চন্দ্রকোণার মানুষ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ত্রাণ শিবির, রাজ্য সড়কের ওপর ত্রিপল খাটিয়ে রয়েছেন। আরও বৃষ্টি হলে সেখানেও জল বাড়বে। ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে মূলত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বেশি। নবমী ও দশমীতে কলকাতায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। তেমনই বলছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কিন্তু উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া মোটামুটি ভালই থাকবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
হুগলির খানাকুল, আমতার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। দু’মাস আগে আমতা দু’নম্বর ব্লকের যে সমস্ত গ্রামগুলো সম্পূর্ণ জলের তলায় ছিল, এবারে সেই সমস্ত গ্রামে আংশিক জল ঢুকেছে। তবে সে অর্থে জলস্তর বাড়েনি। যদিও এই এলাকায় চাষের জমির প্রায় পুরোটাই জলের তলায়।
ঘাটালের অজবনগর এলাকার বন্যার জলে বাড়ি ডুবে জাওয়ার ফলে আশ্রয় নিয়েছে ঘাটাল চন্দ্রকোনা রাজ্য সড়কের ধারে। ঘাটাল পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কের বরদা চাতাল থেকে জল কমলেও এখনও জলমগ্ন ঘাটাল পৌরসভা কার্যালয়। পৌরসভার ১৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে এখনও ১৪ টি ওয়ার্ড জলমগ্ন। অজবনগর গ্রাম পঞ্চায়েত মনসুকস গ্রাম পঞ্চায়েত-সহ বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও এখনও জল। যাতায়াতের একমাত্র উপায় ডিঙি বা নৌকা।