Weather Update: জোড়া দুর্যোগ নিঃশ্বাস ফেলছে বাংলার ঘাড়ে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি বৈঠক ডাকল নবান্ন

Cyclone Gulab: শনিবার বিকেল চারটে থেকে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাশাসক ও পুলিশসুপারদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।

Weather Update: জোড়া দুর্যোগ নিঃশ্বাস ফেলছে বাংলার ঘাড়ে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি বৈঠক ডাকল নবান্ন
বাধা পাচ্ছে শীত, (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 25, 2021 | 1:35 PM

কলকাতা: ফের দুর্যোগের (Weather Update) ঘনঘটা বাংলার আকাশে। আগামী কয়েকদিন নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড়, প্রবল বৃষ্টিই সঙ্গী হতে চলেছে রাজ্যবাসীর। এখনও অবধি এমনটাই খবর আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে। দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই কোমর বাঁধা শুরু নবান্নের। শনিবারও জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।

এদিন বিকেল চারটে থেকে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাশাসক ও পুলিশসুপারদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। থাকবেন রাজ্যের বিভিন্ন পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারাও। কলকাতা পুরসভাকেও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলাগুলিতে এখনও অবধি কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, আগেই যে সমস্ত জেলা প্লাবিত সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি কী, বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরের ছবিটা কেমন সমস্ত বিষয়ে এদিন আলোচনা হবে বলেই সূত্রে খবর। একই সঙ্গে বিপদের সঙ্কেত রয়েছে যে সমস্ত জায়গায়, সেখানকার বাসিন্দাদের সরাতে জেলা প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে তাও আলোচনা হতে পারে এই বৈঠকে।

বঙ্গোপসাগরে অতি গভীর নিম্নচাপের জেরে শনিবারই ফের ঘূর্ণিঝড়ের চোখ রাঙানি। গুলাবের গতিপথ অন্ধ্র প্রদেশ, ওড়িশা হলেও ভাসবে বাংলা। সঙ্গে মঙ্গলবারের ঘূর্ণাবর্ত। জোড়া দুর্যোগে তিন দিন সতর্কতা জারি হয়েছে উপকূলের সব জেলায়। সতর্ক নবান্নও।

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ এই মুহূর্তে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। রবিবার তা অতি গভীর নিম্নচাপের রূপ নেবে। এরপরই রবিবার সন্ধ্যায় ওড়িশা উপকূলে পৌঁছবে। গোপালপুর ও বিশাখাপত্তনমের মাঝে কলিঙ্গপত্তনম দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে সে। অন্যদিকে রবিবার-সোমবারের মধ্যে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার কথা পূর্ব-মধ্য ও উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। এটি ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে বাংলা ও বাংলাদেশ উপকূলে আসবে।

কলকাতা পুলিশ দুর্যোগ মোকাবিলায় সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। লালবাজারে খোলা হয়েছে বিশেষ কনট্রোল রুম। যেখানে পুরসভা, সিইএসসি, দমকল, পিডব্লুডির আধিকারিকরা থাকছেন। অ্যাডিশনাল সিপি তন্ময় রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশি বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

মোট ২২টি বিপর্যয় মোকাবিলা দল প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। প্রত্যেক দলে তিন জন করে সদস্য থাকবেন। এ ছাড়া ভবানীপুর, কালীঘাট থানায় থাকবে চারটি দল। বিপজ্জনক বাড়িগুলির তালিকা তৈরি করে রাখতে বলা হয়েছে থানাগুলিকে। পুরসভা ও সেচ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে সব থানাকে।

শনিবার বিকেল থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন বোঝা যাবে। এদিন সকাল থেকেই কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলার আকাশ মেঘলা। রবিবার থেকে শুরু হবে বৃষ্টি। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার ভারী বৃষ্টির সর্তকতা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।

কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে মেঘলা আকাশ। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। মঙ্গলবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উপকূলের জেলাতে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট থাকবে। ভারী বৃষ্টির সর্তকতা রয়েছে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামে। বুধবারেও পশ্চিমের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। তবে এদিন থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাতে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। সে ক্ষেত্রে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে।

আরও পড়ুন: Canning: ‘ছেড়া নোট দিলি কেন? বলেই বাচ্চা মেয়েটাকে মারধর শুরু করল’, প্রতিবাদ করায় মার বাবা-দাদুকেও