Weather: নাছোড় বৃষ্টি কি ডোবাবে বিশ্বকর্মা পুজোও? হাওয়া অফিস জানিয়ে দিল বৃষ্টি কতদিন চলবে…

Rain Update: এ বছর বর্ষার শুরুতে বৃষ্টির জন্য হাহাকার করেছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি। প্রথমদিকে প্রায় ৫০ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি ছিল।

Weather: নাছোড় বৃষ্টি কি ডোবাবে বিশ্বকর্মা পুজোও? হাওয়া অফিস জানিয়ে দিল বৃষ্টি কতদিন চলবে...
হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 16, 2022 | 6:01 PM

কলকাতা: পুজোর মরসুমে বঙ্গের বরাতে বৃষ্টি বোধহয় অবধারিত। গণেশ পুজোয় ভেসেছে শহর। বিশ্বকর্মা পুজোর আগেও ফের দুর্যোগের মেঘ বাংলার আকাশে। বৃহস্পতিবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের পর শুক্রবারও ঝেঁপে বৃষ্টি হয়েছে দুপুর থেকে। শনিবার অর্থাৎ বিশ্বকর্মা পুজোর দিন এবং রবিবারও বিক্ষিপ্ত মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বাংলায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ উত্তর প্রদেশের মধ্যভাগে অবস্থান করছে। মৌসুমী অক্ষরেখা এই সুস্পষ্ট নিম্নচাপের কেন্দ্র থেকে পাটনা হয়ে বাংলার বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।

হাওয়া অফিস বলছে, এর ফলে আগামী দু’দিন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিম্নচাপটি উত্তর প্রদেশ থেকে উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। এর ফলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচটি জেলায় ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্বকর্মা পুজোতেও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে।

দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের বেশ কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার অর্থাৎ ১৮ সেপ্টেম্বর পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে আবার একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পর অর্থাৎ ২০ সেপ্টেম্বর নাগাদ আরও একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে বঙ্গোপসাগরে। স্বভাবতই এই নিম্নচাপ তৈরি হলে তা উপকূলের দিকে এগোবে। ফলে উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট লক্ষ্য করা যাবে উপকূলের জেলাগুলিতে।

এ বছর বর্ষার শুরুতে বৃষ্টির জন্য হাহাকার করেছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি। প্রথমদিকে প্রায় ৫০ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি ছিল। পরে অগস্ট থেকে একাধিক নিম্নচাপের কারণে দফায় দফায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিছুটা কমেছে বৃষ্টির ঘাটতিও। গত কয়েকদিনের বৃষ্টির ফলে তা কমে ২৬ শতাংশ হয়েছে। আবারও নিম্নচাপ তৈরি হলে এবং তার জেরে বৃষ্টি হলে এই ঘাটতি আরও কিছুটা মিটবে বলে মনে করছে হাওয়া অফিস। এতে কৃষকদের কিছুটা স্বস্তি বটে। তবে চিন্তায় পুজো কমিটিগুলি। ভাবাচ্ছে উৎসবমুখর বাঙালিকেও। বছরকার দিনে মা আসেন ঘরে। যার যতটুকু সাধ্য, তা নিয়েই নিজেদের মতো করে আনন্দে মাতেন। সেই আনন্দে জল পড়লে কারই বা ভাল লাগে?