Primary TET Recruitment: বিজ্ঞপ্তি জারি পর্ষদের, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু
Calcutta High Court: চলতি মাসে তিন দফায় এই ১৮৭ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
কলকাতা: হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ডাক পেলেন ১৮৭ জন চাকরি প্রার্থী। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর তথ্য যাচাইয়ের জন্য ডাকা হয়েছে তাঁদের। চলতি মাসে তিন দফায় এই ১৮৭ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেইমতোই শুক্রবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুসারে এই টেস্টিমনিয়ালের স্ক্রুটিনি/ভেরিফিকেশন, প্রয়োজনীয় নথি দাখিল, অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়া হবে পিটিশন দাখিলকারী চাকরি প্রার্থীদের। ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সল্টলেক সেক্টর ২-এর আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র ভবনে হাজির হতে হবে ওই ১৮৭ জনকে। নামের তালিকাও প্রকাশ করেছে পর্ষদ।
সঙ্গে আনতে বলা হয়েছে
১. টেটের অ্যাডমিট কার্ড
২. মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষার আসল অ্যাডমিট কার্ড
৩. মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষার আসল মার্কশিট ও সার্টিফিকেট
৪. উচ্চমাধ্যমিক (১০+২) বা সমতুল পরীক্ষার আসল মার্কশিট ও সার্টিফিকেট
৫. বিএর আসল মার্কশিট ও সার্টিফিকেট
৬. ভোটার আইডি কার্ড বা আধার কার্ড
৭. পাসপোর্ট সাইজ ছবি
সঙ্গে আরও বেশ কিছু নথি নিয়ে যেতে বলা হয়েছে চাকরি প্রার্থীদের।
গত ৫ সেপ্টেম্বর সোহম রায় চৌধুরী নামে এক চাকরি প্রার্থীর মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, তিনি এবং তাঁর মতো আরও অনেকে ৬ নম্বরের জন্য টেট পাশ করতে পারেননি। অথচ সেই ৬ নম্বরের প্রশ্নেই ভুল ছিল বলে প্রমাণিত বলে দাবি করেন তাঁরা। মামলাকারীদের বক্তব্য, তাঁরা প্রথমে ৬ নম্বরের দাবি পর্ষদের কাছেই রাখে। কিন্তু ২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত পাঁচ বছর ধরে কোনও উত্তর তাঁরা পাননি।
মামলাকারীদের বক্তব্য, তাঁদের নিয়ে ভাবনাচিন্তা না করেই ২০২০ সালে নতুন করে একটা নিয়োগ হয়। এরপরই আইনি পথে হাঁটেন তাঁরা। ২৩ জনকে সেদিন চাকরি দেওয়ার কথা বলেন বিচারপতি। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর আরও ৫৪ জনের নিয়োগের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই ৬ নম্বর নিয়েই জটিলতার কারণে ৫৪ জন চাকরি পাননি বলে জানা যায়। তার পরদিন অর্থাৎ ৭ সেপ্টেম্বরও আরও ১০০ জনের উপরে নিয়োগের নির্দেশ দেয় আদালত। পর্ষদের ভুলেই তাঁরাও চাকরি পাননি বলে আদালতে উঠে আসে।