Bengal BJP: রাজ্যপাল পদ থেকে ধনখড়ের সরে যাওয়া কি চাপ বাড়াল বঙ্গ বিজেপির?

BJP: ২০২১-এর পর রাজ্য বিজেপি বেশ ছন্নছাড়া মত ওয়াকিবহাল মহলের। বসে গেছেন বহু কর্মী। এলাকা ছাড়াও বহু। তাঁদের অভিযোগ, পাশে দলকে পান না তাঁরা।

Bengal BJP: রাজ্যপাল পদ থেকে ধনখড়ের সরে যাওয়া কি চাপ বাড়াল বঙ্গ বিজেপির?
বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে জগদীপ ধনখড়। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 19, 2022 | 1:56 PM

অঞ্জন রায়: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদে ইস্তফা দিয়ে জগদীপ ধনখড় এখন এনডিএ’র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী। এখন রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলাবেন লা গণেশন। তিনি মণিপুরের রাজ্যপাল। অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলারও। কিন্তু জগদীপ ধনখড়ের ইস্তফার পর রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, এবার কি তাহলে চাপ বাড়ল বিজেপির? রাজনৈতিক মহলের মতে, বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার অন্যতম হাতিয়ারই হল আন্দোলন। পথে পড়ে থেকে, রোদে জলে ভিজে, ঝান্ডা হাতে নিয়ে অলি গলিতে না ঘুরলে বাংলার মন পাওয়া কষ্টকর। অথচ বিজেপি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ঠিকই, তবে সেভাবে আন্দোলনে নেই।

২০২১-এর পর রাজ্য বিজেপি বেশ ছন্নছাড়া মত ওয়াকিবহাল মহলের। বসে গেছেন বহু কর্মী। এলাকা ছাড়াও বহু। তাঁদের অভিযোগ, পাশে দলকে পান না তাঁরা। এই অবস্থায় বিজেপির ভরসা ছিল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁর শরণাপন্ন হতেন বিরোধী দলনেতা থেকে শুরু করে বিধায়করা। এখন কী করবেন নেতারা? সূত্রের খবর, এ নিয়ে চিন্তার ভাঁজ বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের কপালেও।

রাজনৈতিক মহলের মতে, ইতিমধ্যেই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে একাধিক ‘লবি’। রাহুল সিনহা, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অমিতাভ চক্রবর্তী, দিল্লির দুই নেতা স্বপন দাশগুপ্ত, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। বঙ্গ বিজেপির মুখ প্রথম সারির মুখ বলতে তাঁরাই। অথচ, তাঁদের বক্তব্যেও প্রায়শই বিরোধিতার মেজাজ। ফলে কর্মীরা মাঝেমধ্যে খেই হারিয়ে ফেলেন। বুঝে পান না কোন দিকে যাবেন।

এর মধ্যে আবার নতুন রাজ্য কমিটি, জেলা কমিটি এবং রাজ্য কমিটি থেকে বাদ বহু পুরনো কর্মী ও নেতারা। নতুন যাঁরা এসেছেন, তাঁদের অনেকেরই সেভাবে বিজেপি করার অভিজ্ঞতা নেই। দলের লোকেরাই তেমনটা বলেন। তাঁদের মতে, পুরনোদের বাদ দিয়ে নিজেরা কিছু করতে গিয়ে লেজে গোবরে অবস্থা হয়ে যাচ্ছে। একের পর এক নির্বাচনে হার, কমছে ভোট।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হারার পর কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা আসেননি। অমিত মালব্যকে অবশ্য এ তালিকায় রাখলে চলবে না। তিনি আইটি সেলের নেতা। পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে তেমন কোনও ধারণাই নেই। গেরুয়া শিবিরের একাংশ মনে করেন, কলকাতায় আসলে পাঁচতারা হোটেলে থাকেন, সেখানেই নেতাদের ডেকে বৈঠক করেন। দলের মধ্যে প্রশ্ন, এমন নেতা কী করে রাজ্য বিজেপিকে দিশা দেখাবেন? দলের অন্দরেই শোনা যায়, বিজেপির প্রবীণ নেতা দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর আবার একেবারে মতের মিল নেই।

এই অবস্থায় ভরসা ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিছু হলেই তাঁর কাছে ছুটে যেতেন বিজেপি নেতারা। এখন তাহলে কী হবে? রাজ্য বিজেপির সঞ্জীবনী মন্ত্র কী হবে? নতুন রাজ্যপাল কি আদৌ ধনখড়ের ভূমিকা নিতে পারবেন? বঙ্গ বিজেপির অলিন্দে এমনই হাজার প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে রাহুল সিনহা অবশ্য বলছেন, “কেউই তো চিরস্থায়ী নন। রাজ্যপাল পদে পরিবর্তন লাগাতার হচ্ছে। কেশরীনাথ ত্রিপাঠী ছিলেন, তার আগেও অন্য রাজ্যপাল ছিলেন। ধনখড়জি এসেছেন, উনি চলে গিয়েছেন। এখন লা গণেশনজি এসেছেন। উনি আপাতত থাকছেন। এরপর পূর্ণ সময়ের রাজ্যপাল খুব শিগগিরি আসবেন। যিনি আসবেন তিনিও পূর্ণভাবে এ রাজ্যের উন্নতির জন্য কাজ করবেন।”