Parliament Security Breach: নিরাপত্তা কর্মীদের অর্ধেকের বেশি পদ খালি! এবার কি শিক্ষা নেবে বিধানসভা?

Parliament Security Breach: রাজ্য বিধানসভায় নিরাপত্তা কর্মীদের বেশ কিছু পদ এখনও শূন্য রয়ে গিয়েছে। বিধানসভা সূত্রের আলোচনায় উঠে এসেছে, ৬০ জন নিরাপত্তা কর্মী থাকার কথা থাকলেও, কমতে কমতে বর্তমানে রয়েছেন ২২-২৪ জন। ফলে বলাই যায়, অর্ধেকের বেশি পদ খালি রয়ে গিয়েছে। বিধানসভায় নিরাপত্তাকর্মীদের শূন্যপদ থাকার কথাটি মানছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

Parliament Security Breach: নিরাপত্তা কর্মীদের অর্ধেকের বেশি পদ খালি! এবার কি শিক্ষা নেবে বিধানসভা?
লোকসভার ঘটনায় কি শিক্ষা নেবে বিধানসভা?Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 13, 2023 | 4:30 PM

কলকাতা: লোকসভার অধিবেশন চলছিল। বক্তব্য রাখছিলেন বাংলার সাংসদ খগেন মুর্মু। হঠাৎ উপরের দিকে গ্যালারি থেকে ধেয়ে আসল ‘স্মোক বম্ব’। হলুদ ধোঁয়ায় ঢাকল অধিবেশন কক্ষ। সঙ্গে সঙ্গে হুড়োহুড়ি। আতঙ্কের বাতাবরণ। নয়া সংসদ ভবনের সুরক্ষা ব্যবস্থায় এমন বড়সড় গলদ হল কীভাবে? লোকসভার গ্য়ালারি পর্যন্ত কীভাবে পৌঁছল ‘স্মোক বম্ব’? তা নিয়ে যখন বিস্তর কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে, তখন কি সিঁদুরে মেঘ দেখছে বাংলার বিধানসভা ভবন? বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বলছেন, ‘লোকসভার ঘটনা আমাদের চোখ খুলে দিল।’

উল্লেখ্য, রাজ্য বিধানসভায় নিরাপত্তা কর্মীদের বেশ কিছু পদ এখনও শূন্য রয়ে গিয়েছে। বিধানসভা সূত্রের আলোচনায় উঠে এসেছে, ৬০ জন নিরাপত্তা কর্মী থাকার কথা থাকলেও, কমতে কমতে বর্তমানে রয়েছেন ২২-২৪ জন। ফলে বলাই যায়, অর্ধেকের বেশি পদ খালি রয়ে গিয়েছে। বিধানসভায় নিরাপত্তাকর্মীদের শূন্যপদ থাকার কথাটি মানছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বললেন, “আমাদের নিরাপত্তা কর্মীদের যে শূন্যপদগুলি রয়েছে, সেগুলিতে দ্রুত গতিতে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।”

তাহলে এখন কীভাবে চলে বিধানসভার নিরাপত্তা? অধিবেশনের সময়ে কিংবা বিধানসভার বিভিন্ন কমিটির বৈঠকের সময় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত কীভাবে করা হয়? সেই সব বিষয়ও খোলসা করলেন স্পিকার। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, বিধানসভার অধিবেশন শুরুর আগে কলকাতা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে বিধানসভা কর্তৃপক্ষ। কলকাতা পুলিশের থেকে বেশ কিছু কর্মীকে বিধানসভার নিরাপত্তার কাজে নেওয়া হয়। তাঁদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে বিধানসভার অধিবেশনের সময় নিরাপত্তার কাজে ব্যবহার করা হয়।

এছাড়া যখন বিধানসভায় কোনও বিশেষ অনুষ্ঠান হয়, তখনও একইভাবে রিকুইজিশন যায় পুলিশের কাছে। তবে অন্যান্য সময়ে, অর্থাৎ যখন বিধানসভায় স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক বা অন্যান্য কাজকর্ম চলে, তখন বিধানসভার নির্দিষ্ট নিরাপত্তা কর্মীদের দিয়েই কাজ চালানো হয়। সে কথাও জানালেন স্পিকার নিজেই।

স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “যখন লোকসভায় এমন ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তখন আমাদের আর একটু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। সেটা আমরা করবও। আমাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের এটা বিশেষ করে দেখা উচিত।” এরপর তাঁর আরও সংযোজন, “অনেক সময় দেখা গিয়েছে, কোনও কোনও বিধায়ক অনেক লোককে নিয়ে বিধানসভায় আসেন। আজকের ঘটনা আমাদের চোখ খুলে দিল। আমরাও এবার আরও একটু কঠোর হব। বিধানসভায় যদি কেউ ভিজিটর নিয়ে আসেন, তাঁদের ভালভাবে চেক করে, তবেই আমরা ছাড়ি।”