Murder in Bhowanipore: গলির সিসি ক্যামেরাগুলি কাজই করেনি, ভবানীপুর ‘জোড়া খুন’কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য…
Murder in Bhowanipore: শাহ পরিবারের বিভিন্ন নথি প্রমাণ, ঘরে থাকা কম্পিউটার, মোবাইল ফোন-সহ অন্যান্য ডিভাইস এখন তদন্তকারীদের নজরে।
কলকাতা: সোমবার সন্ধ্যায় ভবানীপুর হরিশ মুখার্জি স্ট্রিট থেকে এক দম্পতির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যেই একাধিক প্রশ্ন উঠে এসেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, এটি খুনেরই ঘটনা। এই অনুমান যদি সত্যি হয়, এরপরই প্রশ্ন কী কারণে এই খুন? কে বা কারা এই ঘটনা জড়িত? মঙ্গলবার দুপুরেই এসএসকেএম হাসপাতালের মর্গে এসে পৌঁছন নিহত দম্পতি অশোক জে শাহ ও রশ্মিতা শাহের পরিবারের লোকেরা। হাসপাতালে যান তাঁদের এক মেয়ে ও আত্মীয়রা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, পরিবারের লোকেরা মর্গের ভিতরে ঢুকে দেহ দেখার পরই শুরু হবে ময়নাতদন্ত। এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে দফায় দফায় অকুস্থান ঘুরে দেখেছে সায়েন্টিফিক উইং, হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা। বিভিন্ন নথি প্রমাণ, ঘরে থাকা কম্পিউটার, মোবাইল ফোন-সহ অন্যান্য ডিভাইস এখন তদন্তকারীদের নজরে। অন্যদিকে আরও একটি খবর উঠে আসছে পুলিশ সূত্রে, সেখানে গুলি চলেছিল। এমনও সূত্রের দাবি, রশ্মিতা শাহকে লক্ষ্য করে গুলিটি চালানো হয়। তাঁর মাথায় বুলেটের আঘাত রয়েছে। ভবানীপুর থানার বাইরে লালবাজারের একাধিক কর্তার গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে সকাল থেকেই। সোমবার রাতেই ঘটনাস্থলে যান কলকাতার পুলিশ সুপার বিনীত গোয়েল। মঙ্গলবার যান অ্যাডিশনার সিপি, জয়েন্ট সিপি পদমর্যাদার অফিসাররা রয়েছেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন বিষয়ে জানার চেষ্টা করছেন।
সূত্রের খবর, এই বাড়ি বিক্রির পরিকল্পনা নিয়েছিলেন অশোক জে শাহ। এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ। সকাল থেকে এই বাড়ির গেটে রয়েছে পুলিশি প্রহরা। ভবানীপুর খুনের তদন্তে থ্রি ডি ইমেজ স্ক্যানার বসানো হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা এই অত্যাধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করছে। মূলত ঘটনাস্থলের একটা ভার্চুয়াল স্ক্যানিংয়ের জন্য এটি ব্যবহার হয়।
অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে উঠে এসেছে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। গলির যে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, সেগুলি খারাপ। যদিও নিহত দম্পতির বাড়ির উল্টোদিকেই রয়েছে এক চিকিৎসক সুভাষচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি। তাঁর বাড়িতে আটটি ক্যামেরা রয়েছে। সেগুলিই তদন্তকারীদের কাছে বড় হাতিয়ার।