Dengue: আসন্ন বিধানসভা অধিবেশনে ডেঙ্গি নিয়ে বাঁধতে পারে ‘দক্ষযজ্ঞ’! সরকারের কাছে জবাব চাইবে বিজেপি
Dengue: বিজেপি ১৮৫ ধারায় এই মুলতুবি প্রস্তাব জমা দিতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। এই প্রস্তাবে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চাইতে পারে তারা।
কলকাতা: আগামী ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে বিধানসভার (West Bengal Assembly) শীতকালীন অধিবেশন। তার আগে আগামী ১৬ নভেম্বর সর্বদলীয় বৈঠক হবে। অনুষ্ঠিত হবে বিজনেস অ্যাডভাইজারি কমিটি বা বিএ বা বিধানসভার কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকও। সূত্রের খবর, এবারের অধিবেশনে ডেঙ্গি নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব নিয়ে আসবে বিরোধীরা। অর্থাৎ রাজ্যের ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি নিয়ে উত্তপ্ত হতে পারে বিধানসভা।
বিজেপি ১৮৫ ধারায় এই মুলতুবি প্রস্তাব জমা দিতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। এই প্রস্তাবে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চাইতে পারে তারা। বিজেপির বক্তব্য, ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকা অপদার্থতার সমান। বিরোধীদের বক্তব্য, ভয়াবহ আকার নিয়েছে এই ডেঙ্গি। কিন্তু তা নিয়ে সরকারের কোনও হেলদোল নেই। ডেঙ্গি মোকাবিলায় যথার্থ কোনও পরিকল্পনাও নেই বলে মনে করছে বিজেপি। এই সমস্ত কিছু নিয়ে আলোচনা চেয়েই প্রস্তাব জমা দেবে বলে বিজেপি পরিষদীয় দল সূত্রে খবর।
যদিও এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলের মন্তব্য, “আমরা তো সরব হবই। সরকার বড় বড় কথা বলা ছাড়া আর কী করছে? জায়গায় জায়গায় ছোট ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বড় সকলে মারা যাচ্ছেন। এ তো এপিডেমিকের চেহারা নিচ্ছে। কিন্তু সরকারের কোনও হেলদোল নেই। এটা কীভাবে চলতে পারে? ১৮ তারিখ থেকে বিধানসভা শুরু হচ্ছে, সরকারকে উত্তর দিতে হবে। কী ব্যবস্থা করেছে? প্রতি বছর ডেঙ্গি আসছে। ডাক্তারকে বলছে, ডেঙ্গি লেখা যাবে না, অজানা জ্বর বলতে হবে। এটা চলতে দেব না।” তবে মুলতুবি প্রস্তাব আসছে কি না তা নিয়ে অগ্নিমিত্রার বক্তব্য, চূড়ান্ত যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা বিরোধী দলনেতাই নেবেন। সেভাবেই বাকি বিধায়করা চলবেন।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “যা ইচ্ছে করুক। সকলে তো সবই দেখতে পাবেন। তবে ডেঙ্গি নিয়ে কোথাও কোনও ব্যর্থতা নেই। ব্যর্থতার কী আছে? ডেঙ্গি একটা মশাবাহিত রোগ। মোকাবিলায় পুরমন্ত্রী পুরসভাগুলিকে যথেষ্টভাবে সচেতন করছেন। শুধু তাই না নিজে পথে নেমে সেই কাজগুলি করছেন। পুরসভাগুলিও করছে। স্বাস্থ্যদফতরও কাজ করছে। আমাদের সতর্ক হতে হবে, সচেতন হতে হবে। তার বদলে যদি এটা নিয়ে লাফালাফি করাই একমাত্র উদ্দেশ্য হয়। মশাকে কেন্দ্র করে কীভাবে বিরোধিতা করা যায় তা যদি চিন্তাধারা হয়, তা হলে আর কী!”