HC: ববিতা সরকারের চাকরি থেকে ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল, আজ হাইকোর্টে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ৬ মামলা
HC: ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু এই ৩৬ হাজারের মধ্যে অনেকে প্যারা টিচার রয়েছেন বলে উল্লেখ করে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।
কলকাতা: মঙ্গলবার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ৬টি মামলা রয়েছে হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। প্রাথমিকে ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি রয়েছে। ববিতা সরকারের চাকরির ভবিষ্যত কী হবে, সেই মামলার রায়দান হওয়ার কথা এদিন। শুনানি আছে কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলার। একইসঙ্গে পুরসভার নিয়োগে সিবিআই তদন্ত সংক্রান্ত নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করতে চলেছে রাজ্য। তা গৃহীত হলে চলতি সপ্তাহেই শুনানির সম্ভাবনা। এদিন প্রথমার্ধেই শুনানি রয়েছে অধিকাংশ মামলার। প্রতিটি মামলাই অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ
যেসব মামলা আজ নজরে
- পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্ত বহাল রাখার সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে রাজ্য। মঙ্গলবার বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করতে পারে রাজ্য। শিক্ষা সংক্রান্ত মামলায় কীভাবে পুরসভা দুর্নীতির উল্লেখ এবং সিবিআই তদন্ত, প্রশ্ন তুলে এই আবেদন করা হতে পারে। আবেদন গৃহীত হলে চলতি সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা।
- এরপরই রয়েছে ববিতা সরকারের মামলা। ববিতা সরকার এসএসসির সেই শিক্ষিকা, যিনি আদালতে লড়াই করে নিজের চাকরি আদায় করেন। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি পান ববিতা। সে সময় বলা হয়েছিল, এ চাকরি আসলে ববিতারই। অঙ্কিতা তা অন্যায়ভাবে করছেন। বহু জলঘোলা হয় এই মামলা নিয়ে। কিন্তু এরপর ববিতার চাকরি নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। দায়ের হয় মামলা। আদালতই ঠিক করবে এই চাকরি ববিতার থাকবে কি না। সাড়ে ১০টা নাগাদ এই মামলার রায় দিতে পারেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
- কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলার শুনানিও রয়েছে প্রথমার্ধেই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে চাপ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর চেষ্টার অভিযোগ তুলেছিলেন কুন্তল। অভিষেকও এক সভা থেকে এ কথা বলেন। এরপরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, প্রয়োজনে কুন্তল-অভিষেককে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই। পরে এজলাস বদলে বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই মামলা শুনছেন।
- সম্প্রতি ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু এই ৩৬ হাজারের মধ্যে অনেকে প্যারা টিচার রয়েছেন বলে উল্লেখ করে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। বলেন এই সংখ্যাটা ৩০ হাজার ১৮৫ হবে। ২ হাজার ৭৭০ জন আগে থেকেই পার্শ্বশিক্ষক ছিলেন। তাঁদের বক্তব্য, অপ্রশিক্ষিত হলেও অ্যাপ্টিটিউড টেস্টের গুরুত্ব তাঁদের ক্ষেত্রে কম। কারণ, তাঁদের শিক্ষকতায় অভিজ্ঞতা আছে। এই চাকরি বাতিল প্রক্রিয়া থেকে তাঁদের বাদ রাখা উচিৎ বলেও দাবি উঠেছে। ববিতা সরকারের মামলার রায় দেওয়ার পর এই মামলা গ্রহণ করে পারেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুনতে পারেন এই সংশোধনী মামলা।
- এই ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে পর্ষদ ও মামলাকারীদের একাংশ যে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে, তাদের মামলারও এদিন শুনানি হওয়ার কথা বেলা সাড়ে ৩টেয়। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
- কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত রাজ্যপাল নিয়েছেন, তার বিরোধিতা করে পদ হারানো উপাচার্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে মামলা করেন। তারও শুনানি হওয়ার কথা।