Upper Primary: সংরক্ষিতের তালিকায় ‘বসু’, ‘রায়’! সুপারনিউমেরারি পদে নিয়োগ নিয়ে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
SSC: কর্মশিক্ষায় সুপারনিউমেরারি পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি। এই নিয়োগের জন্য একটি ওয়েটিং লিস্টও প্রকাশ হয়।
কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ জটিলতা যেন কাটতেই চাইছে না। ফের কর্মশিক্ষার সুপারনিউমেরারি নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠল আদালতে (Calcutta High Court)। এসএলএসটি উচ্চ প্রাথমিকে (Upper Primary) কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রশ্ন ওঠে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। মাহাত পদবী অসংরক্ষিত তালিকাভুক্ত বলে রাজ্য আদালতে জানানোর পরও ওই পদবীর প্রার্থীদের সংরক্ষিত ক্যাটাগরিতে কীভাবে চাকরি দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এদিন। বিচারপতি জানতে চান, কমিশন কি এ বিষয়ে কিছুই জানে না? বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু প্রশ্ন করেন, এসডিও কীভাবে শংসাপত্র দিলেন? আগামী ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে এসডিও-এর কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি বলেন, ‘জবাব সন্তোষজনক না হলে সব এসডিওকে আদালতে ডেকে আনব।’ হেমাবতী মাণ্ডি নামে একজন মামলা করেন।
মামলাকারী অভিযোগ করেন, পদবি অসংরক্ষিত ক্যাটাগরিতে অথচ সংরক্ষণের তালিকাভুক্ত হয়ে চাকরি পেয়েছেন প্রায় ৫৫ জন। ভৌমিক, ঠাকুর, রায় পদবীর প্রার্থীরা ‘জেনারেল’-এর বদলে সংরক্ষিত তালিকায় সুযোগ পেয়েছেন। এমনকী বড়ুয়া পদবীর এক প্রার্থীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে, যাঁর দু’রকমের শংসাপত্রই রয়েছে। কারও কারও আবার তিনটি সার্টিফিকেট রয়েছে বলেও অভিযোগ। ২২ ডিসেম্বর প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কর্মশিক্ষায় সুপারনিউমেরারি পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি। এই নিয়োগের জন্য একটি ওয়েটিং লিস্টও প্রকাশ হয়। এরপর থেকেই এই পদে নিয়োগ নিয়ে শুরু হয় আইনি জটিলতা। এর আগে এক চাকরি প্রার্থী মামলা করেছিলেন, তিনি ৭২ পেয়েছেন পরীক্ষায়। তাঁর নাম নেই ওয়েটিং লিস্টে। এদিকে যাঁরা তাঁর থেকে কম নম্বর পেয়েছেন, তাঁদের নাম তালিকায় রয়েছে। আগের শুনানিতে আদালত জানতে চায়, যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা কেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে বিশেষ ক্যাটাগরিতে পড়ে তা আদালতকে জানাতে হবে। একইসঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, যাঁরা বিশেষ ক্যাটাগরিতে পড়েছেন, তাঁদেরও এই মামলায় যুক্ত হয়ে যাবতীয় তথ্য দিতে হবে।