Mamata Banerjee: ‘সরকারি টাকায় আরও কিছু করে বেড়াবেন, কালারফুল লাইফ লিড করবেন অথচ…’, রাজ্যপালকে নিশানা মমতার
Mamata Banerjee: এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বড় বড় রাজবাড়িগুলিতে জমিদাররা বসে আছেন। সুপ্রিম কোর্টের কথা পর্যন্ত শুনছেন না। সুপ্রিম কোর্ট বলে দিল, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপাল বসে যদি তালিকা ঠিক করেন, আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। আমি তো গিয়েছিলাম কথা বলতে। তারপরই নোট পাঠিয়ে দিলেন সব বিচারাধীন।"
কলকাতা: উপাচার্য নিয়োগ মামলায় সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্যপালের আইনজীবীকে। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে সেই প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যপালকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২০ নভেম্বর এ উপাচার্য নিয়োগ মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। আদালতের পর্যবেক্ষণের পরও রাজভবন থেকে কেন চিঠি দেওয়া হল তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন ওঠে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বড় বড় রাজবাড়িগুলিতে জমিদাররা বসে আছেন। সুপ্রিম কোর্টের কথা পর্যন্ত শুনছেন না। সুপ্রিম কোর্ট বলে দিল, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপাল বসে যদি তালিকা ঠিক করেন, আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। আমি তো গিয়েছিলাম কথা বলতে। তারপরই নোট পাঠিয়ে দিলেন সব বিচারাধীন।”
রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চলছেই। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নিজের মনোনীত প্রতিনিধিদের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য করেছেন। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও চলছে। আদালতের নির্দেশ, ইউজিসি, রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের তরফে উপাচার্য নিয়োগের প্যানেল গঠনে একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। তিনপক্ষের প্রস্তাবিত নাম থেকেই চূড়ান্ত প্যানেলের নাম ঠিক করবে সুপ্রিম কোর্ট।
আদালতের পর্যবেক্ষণ মেনে গত ২ নভেম্বর রাজভবনে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্যের আইনজীবী বলেছিলেন, আদালতের পর্যবেক্ষণ মেনে মুখ্যমন্ত্রী আচার্য তথা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছেন। তারপরই ৭ নভেম্বর রাজ্যপাল একটি চিঠিতে জানান, সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশে এমন কোনও বৈঠকের কথা বলা হয়নি।
এদিন মমতা বলেন, “কোর্টের নামেও মিথ্যা কথা বলছেন? কে আপনারা? বিজেপির মনোনীত ছাড়া আর কিছু নয়? সরকারি টাকায় খাবেন, সরকারি টাকায় ঘুরবেন, সরকারি টাকায় পুরস্কার দেবেন, সরকারি টাকায় আরও কিছু করে বেড়াবেন। কালারফুল লাইফ লিড করবেন। আর একটা বিল আমরা পাশ করতে পারি না। একটা বিল পাশ করেন না।”