Mamata Banerjee: বেআইনি কয়লা খাদানগুলি আইনি করা হোক, কেন্দ্রকে পরামর্শ মমতার
Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রী বললেন, 'কোল ইন্ডিয়ার সঙ্গে মুখ্যসচিব কথা বলতে পারেন। যে কয়লা খাদানগুলি বেআইনিভাবে চলছে, সেগুলি যদি আইনি করে দেওয়া হয়... তাহলে লোকের চাকরিও পাকা থাকে। আর এগুলি বাইরে বিক্রিও করতে হয় না, পাচারও করতে হয় না।'
কলকাতা: বৃহস্পতিবার দুপুরে নবান্ন সভাঘরে উৎকর্ষ বাংলা সম্পর্কিত পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দফতরের আমলা, জেলাশাসকরা। সেই বৈঠকের সময়েই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে নির্দেশ দেন, যাতে কোল ইন্ডিয়ার সঙ্গে কথা বলা হয়। বললেন, ‘কোল ইন্ডিয়ার সঙ্গে মুখ্যসচিব কথা বলতে পারেন। যে কয়লা খাদানগুলি বেআইনিভাবে চলছে, সেগুলি যদি আইনি করে দেওয়া হয়… তাহলে লোকের চাকরিও পাকা থাকে। আর এগুলি বাইরে বিক্রিও করতে হয় না, পাচারও করতে হয় না।’ পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক অরুণ প্রসাদকে মমতার বার্তা, ‘কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রীকে সেটির উপর একটু নজর দিতে বলুন।’
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দোষটা আমাদের ঘাড়ে দিয়ে লাভ নেই। এটা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও কয়লা মন্ত্রকের কাজ। সুতরাং, বেআইনি কয়লা খাদানগুলি আইনি করে দিলে টাকাও পাবে সরকার এবং সেই সঙ্গে সেখানকার মানুষের চাকরিও হবে।’ পশ্চিম বর্ধমান জেলা যে শিল্পের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ, সেই কথাও তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভার্চুয়ালি উপস্থিত জেলাশাসকের উদ্দেশে মমতা বললেন, ‘পশ্চিম বর্ধমান, বর্ধমান, বাঁকুড়া ও রঘুনাথপুরের মধ্যে সমন্বয় রেখে চলতে হবে। এই চারটি কি পয়েন্টের মধ্যে যোগাযোগ রাখতে হবে। এই এলাকা ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করে।’
উল্লেখ্য, পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল-রানিগঞ্জ এলাকা হল এ রাজ্যের কয়লা-বলয়। সেখানে সরকারি কয়লা খনির পাশাপাশি বেশ কিছু বেআইনি কয়লা খাদানও চলছে। আর সেইসব কয়লা খাদান থেকে কয়লা তুলে বাইরে বিক্রি করার অভিযোগ মাঝেমাঝেই উঠতে দেখা যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারি ও রাজ্য পুলিশের নজরদারিতে অনেক সময়েই ওইসব বেআইনি খাদান থেকে তোলা কয়লা-সহ গাড়ি পাওয়া গিয়েছে। আর এইসবের মধ্যেই এই বেআইনি কয়লা খাদানগুলিকে আইনি করে দেওয়ার জন্য সওয়াল তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে এই নিয়ে কোল ইন্ডিয়ার সঙ্গে কথা বলারও পরামর্শ দিলেন তিনি।